একইসাথে এ সংক্রান্ত পূর্বের প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিটিও বাতিল করা হয়েছে। গত ৪ জুলাই এনটিসিসি এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ১০ ধারা অনুযায়ী সকল তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটের উপরের অংশে ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের বিধান থাকলেও বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিসিএমএ)-এর হস্তক্ষেপের কারণে আইন মন্ত্রণালয় তামাকপণ্যের প্যাকেটের নিম্নভাগে ৫০ শতাংশ স্থান জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের সাময়িক অনুমতি দিলে সরকারের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের এই আইনবিরোধী মতামতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বেসরকারি সংস্থা উবিনিগ (প্রা.) লিমিটেড, প্রজ্ঞা এবং ‘প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠন এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন করলে গত ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে এবং পরবর্তী আদেশ প্রদানের জন্য গত ২ নভেম্বর কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তথাকথিত তামাকবিরোধী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাশ বাংলাদেশ’ (অ্যাকশন অন স্মোকিং এন্ড হেলথ বাংলাদেশ) চলতি বছরের জানুয়ারিতে আরো একটি রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট পূর্বের সব কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করে এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বহাল রাখার আদেশ দেন।
তবে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং রিট আবেদনের দাবির স্বপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি ও তথ্য-প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায় হাইকোর্ট গত ১৯ মার্চ ‘অ্যাশ বাংলাদেশ’ এর রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের উপরিভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে সকল বাধা অপসারিত হয়। বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম