ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিটিস্ক্যান-এমআরআই মেশিন বসাতে অর্থ দেবে জাইকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
সিটিস্ক্যান-এমআরআই মেশিন বসাতে অর্থ দেবে জাইকা চুক্তি সই অনুষ্ঠান-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে দেশের আট বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক এবং ইমেজিং সিস্টেমের উন্নয়নে সহায়তা করবে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।

‘শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জাইকা ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমেজিং সিস্টেম উন্নয়ন করবে।
 
এ লক্ষ্যে রোববার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা লিয়াজো অফিসের জেনারেল ম্যানেজার রোহিলি ইশি চুক্তি সই করেন।


 
জাইকা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন ও অর্থায়ন করে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায় শেষে চুক্তি সইয়ের পর্যায়ে এসেছে।
 
চুক্তি সইয়ের পর এই কাজটি শুরু হয়ে যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোট ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি অংশ (জিওবি) ১৯৭ কোটি টাকা এবং জাইকা দেবে ৭০৩ কোটি টাকা। ইমেজিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে সিটিস্ক্যান, এমআরআই, মেমোগ্রাম, এনজিওগ্রাম, আলট্রাসনোগ্রাম, ক্লোনোস্কোপি ও গ্যাসস্ট্রস্কোপি।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে জাপান সরকার তাদের দেশ থেকে যন্ত্রপাতিগুলো এনে আমাদের হাসপাতালে বসাবে। এমন যন্ত্রপাতিগুলো আমাদের হাসপাতালে আছে। এরপরও এই যন্ত্রপাতিগুলো পেলে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন হবে।
 
আধুনিক চিকিৎসার জন্য সিটিস্ক্যান, এমআরআই, এনজিওগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এদেশে অনেক অসুখ হচ্ছে। সে অসুখগুলোর চিকিৎসার জন্য এ সমস্ত যন্ত্র দরকার। যে কনসালটেন্ট নিয়োগ হচ্ছে, প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য সেই কনসালটেন্ট বিভিন্ন রকমের সাহায্য দেবে। তারা নকশা প্রণয়ন, যন্ত্রপাতির দরপত্র আহ্বান এবং ভবন নির্মাণ তদারকি করবে।
 
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে এই যন্ত্রপাতি রাখার জন্য একটি করে চারতলা ভবন তৈরি করা হবে। যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্যও জাইকা প্রশিক্ষণ দেবে।
 
বিশ্বের সবচেয়ে ভালো ইমেজিং সিস্টেম বসানোর পরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে ইমেজিং সিস্টেমের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো এবং মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে পারবো।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে আগামী অল্পদিনের মধ্যে পুরনো মেডিকেল কলেজ ভেঙে ৫ হাজার বেডের মেডিকেল কলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার কাজ অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। উপজেলা হাসপাতালে ২৩০ থেকে ২৫০ বেড, জেলা হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ বেড হয়ে গেছে। বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকেও দ্বিগুণ বেড করার পরিকল্পনা হয়েছে, কার্যক্রম চলছে। দ্বিগুণের সঙ্গে সঙ্গে ইমেজিং সিস্টেমের কাজ হয়ে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।
 
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে ১০০-১৫০ বেডের ক্যান্সার সেন্টার তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বিভাগীয় শহরগুলোতে ক্যান্সারের তেমন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। দেশে ক্যান্সার রোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
পাশাপাশি কিডনি রোগও বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে একটি করে কিডনি সেন্টার তৈরি করা হবে। এটাও প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
 
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থা শোধনের জন্য জাপান সরকারের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।