ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে হার্ট ফেইলিয়রে’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৮
‘তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে হার্ট ফেইলিয়রে’  সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: হার্ট ফেইলিয়র বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়া সংক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশে দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিবছর প্রায় প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩৭০ জন মারা যায় নন কমিউনিকেবল ডিজিসে। এর মধ্যে ১৭২ জন মারা যায় শুধুমাত্র হার্টের রোগের কারণে। যাদের অধিকাংশেরই বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তবে তরুণদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বর্তমানে এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে পরিচিত।

শনিবার (৩ নভেম্বর)  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে ‘হার্ট ফেইলিয়র’ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান ও ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, হার্ট ফেইলিয়র ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান প্রমুখ।  

বক্তারা বলেন, হার্টের বিভিন্ন কারণ যেমন করোনারি আর্টারি ডিজিস, উচ্চ রক্তচাপ, কনজেনিটাল হার্ট ডিজসসহ ইনফেকশন, কিডনি ও লিভার ফেইলিয়র, নানা ধরনের ড্রাগস যেমন কেমোথেরাপি ইত্যাদির কারণে হার্ট ফেইলিয়র হয়ে থাকে।  

‘বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ২৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ হার্ট ফেইলিয়রে আক্রান্ত হয়। এই রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ নেওয়ার পরও আবারও ভর্তি হতে হয়। ফলে এসব রোগীর সেবা প্রদান ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।  

তাই এ সমস্য সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  

সেমিনারে জানানো হয়, হার্ট ফেইলিয়র সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্ডিওলজি বিভাগে ডিভিশন অব হার্ট ফেইলিয়র, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজির মাধ্যমে স্টেম সেল থেরাপি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে সকালে বিএসএমএমইউ’তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  

এ সময় শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং মিলাদ মাহফিলও হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।