ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অবসরে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
অবসরে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ অবসরে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ-ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর অবসরে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদের ডীন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান, একুশে পদক প্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের  ডি ব্লকে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের ক্লাসরুমে স্বনামধন্য এই চিকিৎসক ও শিক্ষক, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ'র বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া  বলেন, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এমন একজন গুণী শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, প্রশিক্ষক যার মাধ্যমে কোনো কোনো জায়গায় প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পরিচিতি লাভ করে। রোগীরা অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল্লাহর নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করেন। অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ হলেন তরুণ চিকিৎসকদের জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় শিক্ষক ও চিকিৎসক। এই বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই তার অভাব অনুভব করবে।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ স্যারের সহধর্মিনী অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম প্রমুখ সহ ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, জীবনের লক্ষ্য (টার্গেট) থাকতে হবে। কারো ক্ষতি করা নয়, ভালোকিছু করার প্রবণতা থাকতে হবে। মানুষের জীবনে কিছু করে যাওয়ার মতো সময় খুব অল্পই পাওয়া যায়। সংক্ষিপ্ত মানব জীবনের পরিভ্রমণে  আরও সংক্ষিপ্ত সময়ে ভালো কিছু অর্জন করে তা মানুষের মাঝেই বিতরণ করে যেতে হবে। জীবনে আশাহত হওয়া যাবে না। সমালোচনায় কান দেয়া যাবে না। সততা ও আন্তরিকতার সাথে বারবার এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এটাই আমার কামনা।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ'র সহধর্মিনী অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, জীবনে সফল হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস, টার্গেট,   সময়ানুবর্তিতা, স্বার্থহীনতা, একাগ্রতা, চেষ্টা ও আশাবাদী থাকাটা খুবই জরুরি। এ সকল গুণসমূহ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ'র মাঝে বিদ্যমান রয়েছে বলেই তিনি আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন।

এছাড়া অন্যান্য বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ হলেন আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ও চিকিৎসক। রোগীদের প্রতি কোনোরকম অবহেলা তিনি সহ্য করতে পারেন না। সহজ সরল এমন গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসককে অনুসরণ করেই তরুণ চিকিৎসকদের আলোকিত মানুষ, আলোকিত চিকিৎসক হওয়া জরুরি। বণার্ঢ্য জীবনের অধিকারী অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার পরামর্শ দেন যা প্রত্যেক মানুষের জন্যই অত্যন্ত জরুরি।

বক্তারা অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহকে মানবদরদী চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাসহ সামগ্রিক চিকিৎসা পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে  অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৮  ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।