ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বন্ধ রয়েছে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
বন্ধ রয়েছে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স। ছবি-বাংলানিউজ

জয়পুরহাট: গত দুই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের বিল পরিশোধ না করায় পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে পাঠানো রোগী ও তাদের স্বজনরা।

জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে স্থানীয় তাজ ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিলের কারণে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে করে রোগী বহনও বন্ধ হয়ে যায়।

আর এ সুযোগে হাসপাতাল চত্বরে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা চড়া ভাড়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর কিংবা দিনাজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫-১৬ এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরসহ ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ১৭ লাখ ২২ হাজার ৭৭৮ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।  সর্বশেষ নগদেই তেল কেনা হলেও হঠাৎ করেই তাজ ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বকেয়া টাকার দাবিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

সোমবারও (২১ জানুয়ারি) সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে একাধিক বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহন করতে দেখা গেছে। দুপুরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা থেকে আসা ছাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসক আমার মাকে বগুড়ায় রেফার্ড করেছেন। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি কেন যেন বন্ধ রয়েছে।

জয়পুরহাট সদরের জলাটুল গ্রাম থেকে আসা মিজানুর রহমান পা ভেঙ্গে গত কয়েকদিন পড়েছিলেন হাসপাতালের বিছানায়। সোমবার দুপুরে তাকে রেফার্ড করা হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় ১২শ’ টাকার ভাড়ার পরিবর্তে তাকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়ায় ব্যক্তি মালিকানায় একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে হয়।   

এ বিষয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক হারুনুর রশিদ পলাশ জানান, চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ হলেও অবশিষ্ট তেল দিয়ে ১৭ তারিখ দুপুর পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সটি চালিয়েছি। কিন্তু তেল না পেয়ে তারপর থেকে বন্ধ রেখেছি।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের একজন অফিস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জ্বালানি তেলের বকেয়া টাকা চেয়ে মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে একাধিক বার চিঠি দেওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।   

এদিকে, একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ২০১৮ সালের জুন মাসে বকেয়া টাকার যাবতীয় অর্থ বরাদ্দ এলেও সেটি ফেরত গেছে।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এফএম মুছা আল-মানসুর বলেন, জরুরি ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আরো কিছুদিন বাকিতে তেল সরবরাহের জন্য তাজ ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। আশা করছি, দুই-একদিনের মধ্যেই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।          

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ১৯
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।