ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিমে সফল করোনারি এনজিওগ্রাফি ও স্টেনটিং স্থাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
শেবাচিমে সফল করোনারি এনজিওগ্রাফি ও স্টেনটিং স্থাপন এনজিওগ্রাফি শেষে ডাক্তাররা-ছবি-বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে আধুনিক পদ্ধতিতে তিন রোগীর করোনারি এনজিওগ্রাফি ও এক রোগীর এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেনটিং স্থাপন করা হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে রোগীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেনের নিমন্ত্রণকে সাড়া দিয়ে তারই সহপাঠী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রফেসর ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর ডা. মীর জামাল উদ্দিন বরিশালে এসে ডান হাতের শিরার মাধ্যমে আধুনিক পদ্বতিতে এ সফল অপারেশন করেন।  

এ উপলক্ষে কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যেগে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ওই সেমিনারে শিক্ষার্থীদের উদেশে এনজিওগ্রাফি, এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, স্টেনটিং ও বাইপাস সার্জারি সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এই দেশবরণ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।  

সূত্রমতে, বরিশালের কাশিপুরের হারুন হাওলাদার, মুলাদী উপজেলার ষোলঘর গ্রামের রোজাউল, মাদারীপুরের কালকিনির মকবুল হোসেন ও মঠবাড়ীয়া উত্তর মিঠাখালী গ্রামের হানিফ মোল্লা হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তারা গত সপ্তাহে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন। কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন তাদের চিকিৎসার জন্য তার সহপাঠী ও বন্ধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রফেসর ডা. মীর জামাল উদ্দিনকে বরিশালে নিমন্ত্রণ জানান।  

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বরিশালে আসেন প্রফেসর ডা. মীর জামাল উদ্দিন। তিনি ওইদিন সকালে ভর্তি হওয়া চার রোগীর মধ্যে হারুন হাওলাদার, রোজাউল করিম, মো. মকবুল হোসেন’র ডান হাতের শিরার মাধ্যমে করোনারি এনজিওগ্রাফি ও হানিফ মোল্লার এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেনটিং করেন।  

এ অপারেশন করার সময় ক্যাথল্যাবে প্রফেসর ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন, ডা. মো. হুমায়ুন কবির, ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও দক্ষ নার্স এবং টেকনিশিয়ানরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।  

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) থেকেই রোগীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে বরিশালের কাশিপুরের রোগী হারুন হাওলাদার বাড়ি ফিরে গেছেন।  

এ সম্পর্কে কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, হৃদরোগ এড়াতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা ব্যয়ের দিকে না তাকিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ প্রয়োজন। এর আগে এ রোগ প্রতিরোধই অতি উত্তম।  

তিনি বলেন, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে একটি নির্দিষ্ট সময় হাঁটা বা ব্যায়াম করতে হবে, প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। লবণ ও চিনি কম খেতে হবে, বেশি ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার বর্জন করতে হবে, মদ্যপান, জর্দা, তামাক, ধূমপান ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে অনিদ্রা, টেনশন, ভয়, ক্রোধ, হতাশা, রাগ, প্রতিশোধ প্রবণতা, হিংসা ইত্যাদি বর্জন করতে হবে। পাশাপাশি উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।