ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেরিতে ডায়াগনসিসে লিভার ক্যানসারে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
দেরিতে ডায়াগনসিসে লিভার ক্যানসারে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ দেরিতে ডায়ানোসিসে লিভার ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ

দেরিতে ডায়াগনসিস করায় লিভার ক্যানসারে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৮০ শতাংশ। মাত্র দুই যুগেই এই হার দ্বিগুণ হয়েছে।

এক চতুর্থাংশ ব্যক্তির লিভার ক্যানসার হওয়ার কারণ অবেসিটি বা অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া। এক পঞ্চমাংশের টিউমার হওয়ার কারণ ধূমপান।

যুক্তরাজ্যের একটি ক্যানসার গবেষণা চ্যারিটি সংস্থা ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’ (সিআরইউকে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

এতে দেখা যায়, ২০১৭ সালে ব্রিটেনের পাঁচ হাজার সাতশ’ মানুষ লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এক যুগ আগেও সংখ্যাটি ছিল তিন হাজার দুইশ’। অর্থাৎ ২০১৭ সালের লিভার ক্যানসারে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৭৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, এসব কেসের অর্ধেক রোগীই দ্রুত ডায়াগনসিস করলে সুস্থ হয়ে যেতেন।

সিআরইউকে’র লিভার ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ও নিউ ক্যাসল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হেলেন রিভস বলেন, দুর্ভাগ্যবশত লিভার ক্যানসার চিকিৎসার অগ্রগতি খুব ধীর। রোগীদের জন্য আমাদের আরও সুযোগ তৈরি করতে হবে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, লিভার ক্যানসারাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তার মানে, এই রোগে আমরা আরও বেশি মানুষ হারাচ্ছি।

অবেসেটি এবং ডায়াবেটিস ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ায় লিভার ক্যানসারও বাড়ছে বলে জানান তিনি।

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের এক পরিসংখ্যানের দেখা যায়, গত ১৯ বছরে এসব সমস্যায় মৃত্যুর হার তিনগুণ বেড়েছে।

ইংল্যান্ডে ১৯৯৭ সালে পুরুষদের মধ্যে হেপাটোসেলুলার সারসিনোমায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ছিল প্রতি এক লাখে এক দশমিক ৯৩ জন। এটা ২০১৬ সালে হয়েছে পাঁচ দশমিক ৯৭ জন।

নারীদের ক্ষেত্রে দুই যুগে এ রোগে মৃত্যুর হার প্রতি লাখে শূন্য দশমিক ৫১ জন থেকে বেড়ে হয়েছে এক দশমিক চার জন।

লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর আরও অন্তত পাঁচ বছর বাঁচার হার মাত্র ছয় শতাংশ।

এটা সারানো বেশ কঠিন কারণ রোগ সহজে ধরা পড়তে চায় না। বেশিরভাগ সময়ই একদম শেষ স্টেজে গিয়ে রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

লিভার ক্যানসারের বেশকিছু সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে: অবসাদ, ক্লান্তি, দুর্বলতা, ক্ষুধা না লাগা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, হঠাৎ ওজন অনেক কমে যাওয়া, লিভারের আশে পাশে অস্বস্তি বা ব্যথা, শরীর চুলকানো, রক্তের শিরা-উপশিরা চোখে পড়ার মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠা (অনেকটা মাকড়সার জালের মতো), লিভার বড় হয়ে যাওয়া, গাঢ় রঙের প্রস্রাব ও ধূসর রঙের মল হওয়া, যৌন চাহিদা কমে যাওয়া, ইত্যাদি।

সিআরইউকে’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশেল মিচেল বলেন, লিভার ক্যানসারে মৃত্যুর হার আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। ক্যানসার ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা সবাই নিজেদের জীবনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। যেমন- ওজন ঠিক রাখা, ধূমপান বন্ধ করা, মদ পান না করা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।