ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বলিরেখা এখনই নয়

হেলথ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১২
বলিরেখা এখনই নয়

ঢাকা: দৈনন্দিন জীবনে নানান দুঃশ্চিন্তা, খাদ্য অভ্যাসের ধরণ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কর্মজীবনের ব্যবস্তা, স্বাস্থ্য সমস্যা আপনার সৌন্দর্যকে খুব দ্রুতই ম্লান করে দেয়। মুখে দেখা দেয় বলিরেখা।

চলে আসবে অকালবার্ধক্য। যা আপনার সতেজ ত্বক এবং জীবনীশক্তি ক্ষয়ে দেবে।

ফলে হারিয়ে যায় আপনার যৌবনের সুন্দর ত্বক এবং সৌন্দর্য। তাই এখনই সাবধান হয়ে যান। পরিহার করুন ওইসব অভ্যেস যা আপনাকে বুড়িয়ে দেয়।

জেনে নিন কোন বিষয়গুলো আপনাকে সময়ের আগেই বৃদ্ধ করে ....

মিষ্টির প্রতি আসক্তি কমাতে হবে : অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের প্রতি আসক্তি আপনার মুখের উপর এক ধরণের আবরণ তৈরি করে। মিষ্টি জাতীয় খাদ্য ত্বকের উপর ‘গ্লাইকেশন’ সৃষ্টি করে। গ্লাইকেশন এমন আবরণ যা আপনাকে অকালবৃদ্ধে পরিণত করবে।

গ্লাইকেশন হলো চর্বি, প্রোটিন এবং শর্করা দিয়ে গঠিত এমন একটি টিস্যু যা পেশিকে অনমনীয় করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে।

এজন্য মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহণে সতর্ক থাকুন। চকলেট কম খাবেন এবং শরীরে মিষ্টির চাহিদা পূরণে বেশি করে ফল খাবেন।

একপাশে শুয়ে ঘুমানো যাবে না : আপনি যদি সবসময় একপাশে শুয়ে ঘুমান তাহলে আপনার মুখে খুব দ্রুত বলিরেখা পড়বে। আপনাকে দেখাবে বৃদ্ধ। একপাশে সবসময় শুয়ে থাকলে আপনার মুখের উপর চাপ পড়ে ফলে আপনার মুখের উপর, ঠোটের চারপাশে এবং নাকের কাছে চাপ পড়ে ন্যাছোলেবিয়াল ভাঁজ তৈরি হয়। ফলে আপনি হাসলে আপনারে বলিরেখাগুলো আরও স্পষ্ট দেখাবে।

এজন্য এখন থেকেই ঠিকভাবে ঘুমান। বিভিন্ন দিকে পাশ ফিরে ঘুমানোর জন্য বালিশ আপনার হাঁটুর নিচে রাখতে পারেন। আলোর মধ্যে ঘুমালে আপনার পরিষ্কার ঘুম নাও হতে পারে, এক্ষেত্রে আপনার অজান্তে ভ্রু কুচকে যেতে পারে। তাই রাতে ঘরে আলো থাকলে স্লিপিং মাস্ক পরে ঘুমান।

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে : বিভিন্ন দুঃশ্চিন্তা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব আপনার হরমোনাল সমস্যা তৈরি করে। ফলে আপনার ত্বকে প্রোটিনের গঠনগুলোকে ভেঙে ফেলে। এজন্য আপনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন যেমন- এ, সি এবং ই যেসব খাদ্যে পাওয়া যায় তা গ্রহণ করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি ফল, সবজি, মাছ খেতে পারেন। আবার আকালবার্ধক্য রোধে ব্যবহার করতে পারেন বলিরেখা রোধক ক্রিম বা ময়েশ্চারাউজড ক্রিম।

আপনার ত্বক শুষ্ক : আপনার ত্বক যদি হয় শুষ্ক তাহলে কম বয়সেই বলিরেখা দেখা দেবে। শুষ্ক ত্বক আপনার চামড়ার বাইরে এবং ভেতরে উভয় দিকেই ক্ষতি করে। এজন্য আপনি প্রচুর পানি পান করুন এবং ত্বক সবসময় আদ্র রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

ধুমপান পরিহার করুন : ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা আমাদের সবারই জানা। ধুমপান করলে আপনার ঠোটেরে চারপাশে বলিরেখার সৃষ্টি হয়।

এক্ষেত্রে আর একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ধুমপায়ীদের আশেপাশে যারা থাকে অর্থাৎ প্যাসিভ ধুমপায়ীর মধ্যেও বয়সের ছাপ পড়ে যায়। মনে রাখতে হবে আমার যতটা নিজেরা ধুমপান করি তার চেয়ে বেশি অন্য ধুমপায়ীদের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। তাই সবাইকে ধুমপান পরিহারে অনুরোধ জানাতে হবে।

রৌদ্র পরিহার করুন : অকালবার্ধক্যের জন্য রোদ খুবই ক্ষতিকর। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মিগুলো ত্বকের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। মুখে বলিরেখা বাড়িয়ে তোলে, চামড়া কুচকে যায়, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায় এবং আঁটসাঁট হয়ে যায় চামড়া। যা আপনাকে অকালবার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেবে।

এজন্য ত্বকে উপযুক্ত সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশান ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে রৌদ্রে বের হলে স্কার্ফ ব্যবহার করলেও আপনার ত্বক সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে।

বাংলাদেশ সময় : ১০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।