ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

দ্বিগুণ আগ্রহে টিকা নিচ্ছে রাজশাহীর স্কুলশিক্ষার্থীরা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
দ্বিগুণ আগ্রহে টিকা নিচ্ছে রাজশাহীর স্কুলশিক্ষার্থীরা  ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীর মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বয়স্কদের চেয়েও দ্বিগুণ আগ্রহে টিকা নিচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপ শেষ করার প্রচেষ্টা চলছে।  

এরই মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার ৩২ হাজার স্কুলশিক্ষার্থী ফাইজারের টিকা পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজও সম্পন্ন করেছে। আর এখনো দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী। এখন সাধারণত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ফাইজারের টিকা পাচ্ছে। এর মাধ্যমে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলশিক্ষার্থীদের এই করোনা টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

তবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে অথচ বয়স ১২ বছর হয়ে গেছে—এমন শিক্ষার্থীকেও করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বাইরে বেকল এই জেলার পবা ও দুর্গাপুর উপজেলা এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা করোনা টিকা পাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে রাজশাহীর অন্য সাত উপজেলায়ও এই কার্যক্রম শুরু হবে।  

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এক মাস থেকে তারা স্কুল পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ৩২ হাজার শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে। প্রতিদিনই কার্যক্রম চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই প্রথম ধাপ শেষ হবে। এরপর পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রমটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।  

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে আসেন। তিনি স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের চলমান টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং এ সম্পর্কে খোঁজ নেন।  

টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মাউশি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহীসহ সারা দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রথম ধাপ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
এসএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।