ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

ঢাকা: অতি দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস।

এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কিডনি স্বাস্থ্য উন্নয়নে জ্ঞানের বিকল্প নেই’।

কিডনি রোগের একেবারে শেষ পরিণতি হচ্ছে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। কিডনি বিকল হয়ে গেলে একমাত্র উপায় কিডনি প্রতিস্থাপন অথবা ডায়ালাইসিস। কিন্তু এই চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে প্রায় ৯০ শতাংশ রোগী বিনা চিকিৎসায় অথবা আংশিক চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন।

কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয় কীভাবে কমানো যায় জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। একবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে ২২০০ টাকা খরচ হয়। একজন রোগীর সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়, তিনবার করলে ভালো। এরসঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধ পত্র, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে সরকারকে ১৯৮২ সালের ঔষধ নীতি অনুযায়ী ঔষধের দাম নির্ধারণ করতে হবে। এতে ওষুধের দাম কমে অর্ধেক হয়ে যাবে, কিন্তু ঔষধ কোম্পানির লাভ কমবে না। সরকার ইচ্ছা করলেই ওষুধের দাম কমানো সম্ভব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ডায়ালাইসিসের জন্য দরিদ্র নিম্নবিত্তদের সরকারকে রোগী প্রতি এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দরিদ্রদের জন্য দিনের বেলা ৭০০ টাকা, রাতের বেলা ৫০০ টাকায় ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করি। আবার কেউ এক সপ্তাহের তিন বারের ডায়ালাইসিসের টাকা একবারে জমা দিলে, তার জন্য ১২০০ টাকা। সরকার আমাদের এই পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করতে পারে।

প্রবীণ এই চিকিৎসক আরও বলেন, আমরা দুই বছর থেকে একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার কথা বলছি। সরকারের কাছে আমরা আবেদন করেছি, কিন্তু সরকার এখনো অনুমোদন দেয় নাই। মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এলাকায়, মেশিন রয়েছে তবে সেটা চালু হয়নি, কারণ সেখানে ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ান নেই। সেই জন্যই আমরা বলেছিলাম, একটি কোর্স করেন, আমরা গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে সেটা করে দিব। আমরা প্রতিদিন ৩০০ লোকের ডায়ালাইসিস করে থাকি। ফলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া অনেক সহজ।

কিডনি প্রতিস্থাপন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে, হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে কোনো ব্যক্তি কিডনি দান করতে পারবেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটা কার্যকর করেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে নিকট-আত্মীয়র কথা, এক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় পাওয়া মুশকিল। ইরানে যে কেউ কিডনি দান করতে পারে। ইরানে কেউ কিডনি দান করলে সরকার তাকে চাকরিসহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেয়। ফলে সবচেয়ে বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন হয় ইরানে। কিডনি দানকারীর কোনো খরচ হয় না বরং সে অনেক সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
আরকেআর/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।