ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস মঙ্গলবার

স্টাফ করোসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২
জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস মঙ্গলবার

ঢাকা: মঙ্গলবার জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। এছাড়াও এদিন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ৫৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

দিবসটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করবে সমিতি।

ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সমিতির আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি থাকবে। এতে ডায়াবেটিক সমিতির চিকিৎসক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেবেন।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘর, প্রেস ক্লাব, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন এনএইচএন ও এইচসিডিপি কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করবে ডায়াবেটিক সমিতি। ১১টায় বারডেম মিলনায়তনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে বিনামূল্যে রোগীদের পরামর্শ প্রদান করা হবে।

বেলা সাড়ে ১২টায় বারডেম মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সমিতির অন্যান্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জেলায় অধিভুক্ত সমিতিগুলোও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য মতে, ১৯৮৫ সালে বিশ্বে ৩ কোটি ডায়াবেটিস রোগী ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ২০ কোটির বেশি হয়েছে। প্রতিরোধ করা না গেলে এই সংখ্যা ৩০ কোটিতে পৌঁছবে। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি।

ডায়াবেটিসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইনসুলিন নামের এক প্রকার হরমোনের অভাবে অথবা উৎপাদিত ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে গেলে গ্লুকোজ দেহের বিভিন্ন কোষে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রবেশ করতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিকেই ডায়াবেটিস বলে।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস অন্ধত্ব, হৃদরোগ, কিডনি নষ্ট, স্ট্রোক ও পঙ্গুত্বের মতো কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। টাইপ-১ ও টাইপ-২ এই দুই ধরনের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সীদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে ইনসুলিন একেবারেই হয় না অথবা ইনসুলিনের ঘাটতি থাকে। তাদের ইনসুলিন নিতেই হয়।

তবে দেশে টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগী তুলনামূলক কম। অপর দিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী বাংলাদেশে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। তাদের শরীরে ইনসুলিন নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা ইনসুলিনের ঘাটতি থাকে। এ ধরনের রোগীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মিত ব্যায়াম চর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে যদি কায়িক পরিশ্রম না করা হয়, মোটা হয়ে যায়, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় পান করা হয়, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, যদি ধূমপান করা হয়, যাদের বাবা-মা অথবা রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

টাইপ-১ রোগীর ২০ শতাংশের কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও তারা অন্ধ হয়ে যেতে পারে। পায়ে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পচনশীল ঘা হতে পারে। মহিলাদের অপরিণত বা শারীরিক ত্রুটিপূর্ণ সন্তান হতে পারে। যৌন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। মাড়ির প্রদাহ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।