ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পানির মান পরীক্ষার সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পানির মান পরীক্ষার সুপারিশ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: পানিবাহিত রোগ থেকে নগরের মানুষদের রক্ষা করার জন্য নিয়মিত পানির মান পরীক্ষা করে জনগণকে জানানো এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা করার সুপারিশ জানিয়েছে সমাজের সচেতন নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'ডায়রিয়া সংকট মোকাবেলা ও সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণ' শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে তারা এই কথা বলেন।

বারসিক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে।

তাদের সুপারিশ সমূহ: নগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে, এই বছর ডায়রিয়া কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব কেন বেশি তা পরীক্ষা করে জনগণকে দ্রুত সচেতন করতে হবে,  যে এলাকা থেকে ডায়রিয়া রোগী বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে সেখানকার পানি পরীক্ষা করে কারণ রেব করে তা স্থানীয় মানুষকে জানাতে হবে। ওয়াসা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের দ্রুত সেখানে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে, ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে। আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় তাদেরকে ক্ষেত্র বিশেষে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে, নগরে ওয়াসার পানি সরবরাহকৃত লাইন থেকে যখন কোন আবাসিক ভবনে প্রবেশ করবে, সেখানকার পানির মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওয়াসা এবং স্থানীয় সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে ও খোলা রাস্তায় ও ছোট দোকানে খাবার বিক্রেতাদের পানি বিশুদ্ধ রাখার জন্য নজরদারী বাড়াতে হবে।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, সরকারের সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দেন নিম্ন আয়ের মানুষ কিন্তু তারাই নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সরকারকে নিম্ন আয়ের মানুষদের সমস্যাগুলোকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।

পবা’র সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান বলেন, নিরাপদ পানির অধিকার সাংবিধানিক কিন্তু রাষ্ট্র সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। যার কারণে ডায়রিয়াসহ নানান সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ওয়াসার এমডি হাসতে হাসতে বলেন পানি ফুটিয়ে খেতে, এটা খুবই দু:খজনক ও নিন্দনীয় বক্তব্য।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অধিকাংশ প্রকল্প গ্রহণ হয় বাস্তবিক সমীক্ষা ছাড়াই। তাইতো বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়, কোটি কোটি টাকা খরচ হয় কিন্তু তার সুফল মানুষ পায় না।

নাগরিক সংলাপে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন রাশেদ হাওলাদার, নগর গবেষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বারসিকের সমন্বয়ক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজাসহ অনান্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এমএমআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।