ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভারতের করোনার প্রভাব দেশে পড়তে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
ভারতের করোনার প্রভাব দেশে পড়তে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী কথা বলছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ঢাকা: প্রতিবেশী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আবারও করোনা ভাইরাসের বাড়ছে সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশেও আবার করোনা বাড়তে পাড়ে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন।  

জাহিদ মালেক বলেন, এখন করোনা সংক্রমণ নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ ফের বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে অনেকেই যাতায়াত করছেন। তাদের নজরে রাখতে হবে, আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা আসা-যাওয়া করছেন সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না যায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ এগিয়ে যেতে হলে মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে। এজন্য পুষ্টি অপরিহার্য। আমাদের দেশে পুষ্টি সেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টি নিয়ে সচেতন করা হয়। অতিরিক্ত তেল ও লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আমরা কি খাচ্ছি সেটা দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংক্রামণ ব্যাধি যক্ষা, পোলিও, ম্যালেরিয়া, এইডস নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে অসংক্রামক রোগ যেগুলো মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো বাড়ছে। আমাদের পরিমিত খেতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ক্যালরিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখনো ১০-১৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, কিন্তু কেউ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের মানুষের খর্বাকৃতি আগে যেখানে ৫০ শতাংশ ছিল, সেটি এখন ত্রিশে নেমেছে। স্কুল ফিডিং জোরদারের চেষ্টা করছে সরকার। ছেলেমেয়েদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। ফাস্টফুড খাবার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জাতীয় পুষ্টি সেবা কার্যক্রমের পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়োশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।