ভোলা: ভোলায় তীব্র গরমে শিশুদের ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বেড়েছে।
ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ১২ শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬ জন। গত এক মাসে মোট আক্রান্ত ৪৪৫ জন।
ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে শিশু রোগীদের চাপ। একদিকে গরম, অন্যদিকে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় একটি বেডে গড়ে দু’তিনজন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৬৩ জন। যাদের মধ্যে সকাল থেকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ভর্তি হয়েছে পাঁচজন।
জেলা সদরের রতনপুর থেকে শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা হাফিজা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, দু’দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত আমার বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে রয়েছি, চিকিৎসা চলছে।
বোরহানউদ্দিন থেকে আসা শিশু রোগীর বাবা মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার শিশু ভর্তি ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে এসেছি। এখানকার চিকিৎসা সেবায় এখন কিছুটা ভালোর দিকে।
একই অবস্থার কথা জানালেন লালমোহন থেকে আসা রোগীর মা রিফা বেগম, রতনপুর থেকে আসা ইশরাত জাহান, ইলিশা থেকে আসা খাদিজা ও আকলিমাসহ অন্যরা।
শিশু রোগীদের কয়েকজন অভিভাবক জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে বেড সংকট থাকায় গরমের মধ্যে তাদের সন্তানদের নিয়ে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভোলার সিভিল সির্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘাম থেকে শিশুদের নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাগ বেড়েছে। চিকিৎসকরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এসআরএস