ঢাকা: তামাক ব্যবহারের কারণে শুধু স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, একই সঙ্গে অনেক ধরনের সামাজিক সম্ভাবনারও ক্ষতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গঠনের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে তামাক পণ্যের সহজলভ্যতা কমাতে আরও কার্যকর করারোপ করতে হবে।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা- উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপ বিষয়ক প্রাক-বাজেট আলোচনা’য় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এমপি, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি, শামীমা আক্তার খানম এমপি, হাবিবা রহমান খান এমপি, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি প্রমুখ।
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ড. তৈয়বুর রহমান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান (লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে, বাংলাদেশ)ও অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত কর-কাঠামো বাস্তবায়ন করা গেলে অবশ্যই তামাক পণ্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে আসবে। পাশাপাশি নতুন ধরনের তামাক পণ্য উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। রেস্টুরেন্টে তামাক সেবনের জন্য বিশেষ ‘স্মোকিং জোন’ তুলে দিতে হবে। একই সঙ্গে যে সব এলাকায় তামাক বেশি উৎপাদন হয় সেখানে প্রণোদনা দিয়ে কৃষকদের বিকল্প ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে। ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক পণ্য উৎপাদনে নতুন করে কোনো কারখানা সৃষ্টি করা যাবে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের বিষয়ে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের একটি ভিডিও বক্তব্য প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
আরকেআর/এনএসআর