মানিকগঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য প্রায় এক কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া। সারাদেশে ১৬ হাজার ৬৫০টি কেন্দ্রে করোনা টিকার বুস্টার ডোজের বিশেষ কার্যক্রম চলবে।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই টিকাদান কার্যক্রম এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণ সফলতার সঙ্গে চলমান আছে। টিকা কার্যক্রম এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ রোল মডেল হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থান এবং সারাবিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৮৭ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৭৭ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় দেড় কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজকে ১৬ হাজার ৬৫০টি কেন্দ্রে এই বুস্টার ডোজের বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৮৫ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। সবাইকে এই টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। টিকা নিতে আমাদের দেশে কোথাও কোনো সমস্য হয়নি। টিকা নেওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর আমরা আরো সুরক্ষিত হবো। যাদের সময় হয়েছে তারা দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডাক্তার সামিউলহক, পরিচালক এমএসমসি অ্যান্ড এইচ ডাক্তার শামছুল হক, পরিচালক স্বাস্থ্য ঢাকা বিভাগ ডাক্তার ফরিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরি, জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দীন, পৌর মেয়র রমজান আলী, কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডাক্তার বজলুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এনটি