ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

টেলিচিকিৎসা সেবাসহ অ্যাপোলোর দ্বিতীয় শাখা চট্টগ্রামে

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১২
টেলিচিকিৎসা সেবাসহ অ্যাপোলোর দ্বিতীয় শাখা চট্টগ্রামে

ঢাকা : ভারতের নামকরা চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো গ্রুপ অব হসপিটাল বাংলাদেশে দ্বিতীয় শাখা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হবে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।



অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রস্তাবিত ৩শ` শয্যার হাসপাতালটি আগামী দুই বছরের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করছে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ।
 
ভারতের স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রধান আন্তর্জাতিক ভোক্তা দেশ বাংলাদেশ। ভারতের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের পরিচালিত সেবা ‘বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য পরামর্শ’ বাংলাদেশে চালুর ব্যাপারে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে অবস্থিত বহুমুখী টেলিসেন্টার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ সেবা পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সালে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার ৫শ’ টি টেলিসেন্টারের একটি চমৎকার নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। এখানে জনগণকে প্রায় আলাদা ৫০ ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১শ’টি টেলিসেন্টারে স্থানীয় ব্যাংকগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।
 
অ্যাপোলো গ্রুপ অব হসপিটালের নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) সঙ্গীতা রেড্ডি এ ব্যাপারে বলেন, ‘এই টেলিসেন্টারগুলোর  মাধ্যমে আমাদের ‘বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সেবা‘  প্রদানের ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্পের ব্যাপারে ঘোষণা দিতে পারবো। ’

তিনি সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক বিপণন সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সময় এক সাক্ষাতকারে এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অ্যাপোলো গ্রুপ ইতোমধ্যেই একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে।

সঙ্গীতা রেড্ডি আরো জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান আফ্রিকার ২৪টি দেশে একই ধরনের টেলিমেডিসিন সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছে। এর পাশাপাশি তারা  ১২০টি  ‘ভিডিও কনফারেন্সিং হাব’ পরিচালনা করছেন।

এগুলোর বেশিরভাগই ভারতে অবস্থিত হলেও বেশ কিছু কেন্দ্র ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাস, মালদ্বীপ এবং শ্রীলংকাসহ পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশেও স্থাপন করা হয়েছে।

আগামী ২৫ মাসের মধ্যে এরকম আরো ৫শ‘ ‘ভিডিও কনফারেন্সিং হাব’ স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

রেড্ডি বলেন, দূরদূরান্ত থেকে যেসব রোগী চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে চান তাদের জন্য এই টেলিমেডিসিন সেন্টার সময় ও অর্থ খরচ বাঁচাবে, সেই সঙ্গে কষ্টও লাঘব করবে।

ভিডিও কনফারেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে উদাহরণ স্বরূপ প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস সংশ্লিষ্ট  এবং কার্ডিয়াক সার্জারির রোগী  অস্ত্রোপচার পূর্ব চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবে। তাদের আর কষ্ট করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অর্থ খরচ ও পরিশ্রম করে কলকাতা বা চেন্নাইয়ে আসতে হবে না বলে উল্লেখ করেন সঙ্গীতা রেড্ডি।
 
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।