ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. খুরশিদ আলম বলেছেন, জুলাই মাসের শেষের দিকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা ভাইরাসের টিকা হাতে এসে পৌঁছাবে। এরপরই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে বুস্টার ডোজ দিবসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, করোনা আক্রান্তের তীব্রতা কম হওয়ায় বুস্টার ডোজ নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ যে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের সবাইকেই বুস্টার ডোজ দেওয়ায় খানিকটা পিছিয়ে আছি। ১৭ শতাংশ মানুষকে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের একটি বড় জনসংখ্যাকে তৃতীয় ডোজ দেওয়া। তাহলে করোনার সংক্রমণের হারটাও অনেকখানি কমে যাবে।
স্কুলপড়ুয়া শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের ভ্যাকসিন চলতি মাসের শেষ নাগাদ আমাদের হাতে আসবে। এরপর আমরা তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করব। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সারাদেশে একযোগে বাচ্চাদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। প্রথমে ঢাকা থেকে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই চলবে।
আজকে ৭৫ লাখ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিনের শেষেই আসলে এ বিষয়ে বলা যাবে। তবে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, বুস্টারে মানুষের আগ্রহটা অনেক কম। তারা ঠিক আগের মতো আগ্রহ নিয়ে এ টিকা দিতে আসছে না। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্তের হার কম এবং তীব্রতা কম, যে কারণে মানুষের মধ্যে ভয়টা নেই। সেই কারণে তাদের আগ্রহটাও কম। আমরা চেষ্টা করছি প্রচার প্রচারের মাধ্যমে তাদের আগ্রহটা বাড়ানোর। আজকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে কাল, পরশু টিকাদান চলবে।
উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেড জেনারেল মো. নাজমুল হক ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশরাফুল আলমসহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এজেডএস/এনএইচআর