বরিশাল: বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা এবং ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় এক নারীকে লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ওই নারী।
মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুননবী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া বাজারে সান্তনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর সেখানেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিয়মিত রোগী দেখতেন মুনতাকা দিলশান (ঝুমা)।
তবে বর্তমানে তিনি নিজের চেম্বার খুলে সেখানে নিয়মিত রোগী দেখে আসছিলেন। ভুয়া মেডিক্যাল অফিসারের পরিচয় দিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার অভিযোগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইয়েদ মো. আমরুল্লাহর উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুননবী জানান, মূলত ওই নারী নিজের নামের সপক্ষে বিএমডিসির কোনো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখাতে পারেননি। আবার তিনি নিজেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে পরিচয় দিলেও তার সপক্ষে কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। এছাড়া নোয়াখালীর মেডিক্যাল অফিসার হলে মেহেন্দিগঞ্জে প্রতিদিন রোগী দেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আবার প্যারমেডিক্যাল সার্টিফিকেটও দেখাতে পারেননি, তারপরও তিনি রোগী দেখছেন এবং ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন।
তাই তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, সান্তনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী মারুফ মেহেন্দিগঞ্জের আরও কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তার স্বজনদেরই মেডিক্যাল অফিসার সাজিয়ে গ্রামের অসহায়দের ধোঁকা দিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
এমএস/এএটি