ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেড় কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করেছে ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
দেড় কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করেছে ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন

ঢাকা: ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি) প্রজেক্ট, উজ্জীবনের আয়োজনে লার্নিং ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঢাকার রেডিসন ব্লু  ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে শুরু হওয়া ফেস্টিভালটি চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি অফিসের (ওপিএইচএন) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিরান্ডা বেকম্যানসহ ইউএসএআইডি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন প্রকল্প বিগত পাঁচ বছরের বাস্তবায়ন থেকে তার শিখনগুলো প্রচার করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যের ফলাফলগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও সফল এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলির বিকাশের ভিত্তি তৈরি করে চলছে। লার্নিং ফেস্টিভালের মাধ্যমে একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করে সমন্বিত বার্তা ব্যবহার করে জনগণকে অভিন্ন তথ্য দেওয়া; দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্য আচরণের মূল প্রভাবক কারণগুলি যেমন নিজের কার্যকারিতার উপর বিশ্বাস, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ, জেন্ডার সমতা ও সামাজিক রীতিকে বিবেচনা করা; এবং আধুনিক গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার এবং মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার তথ্যসহ নারী ও মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন উজ্জীবন প্রকল্প।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই।

ইউএসএআইডি’র ওপিএইচএন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিরান্ডা বেকম্যান বাংলাদেশ সরকার এবং তার অংশীদারদের এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, শুধুমাত্র সরকার ও বৈদেশিক সাহায্য দিয়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অবশ্যই বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য অপ্রচলিত দাতাদের জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে নারী ও পুরুষ এবং মেয়ে ও ছেলেরা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন বেছে নেওয়া ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপের ওপরও জোর দেন তিনি।

ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন প্রকল্প স্বাস্থ্যকর আচরণ এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের আচরণ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে আসছে। প্রকল্পটি চারটি বিষয়ের ওপর কাজ করে মা, নবজাতক, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং যক্ষ্মা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, কৌশলগত অংশীদার ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতায়, প্রকল্পটি চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে তার অগ্রাধিকার জনগণের মধ্যে জন্য স্বাস্থ্য প্রমোশনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রকল্প কর্মী, উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রতিনিধিসহ ৩৫০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।