ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কখনোই নিবন্ধন করেনি দেশের ১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
কখনোই নিবন্ধন করেনি দেশের ১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল

ঢাকা: দেশের ১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনের একটি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন এ তথ্য প্রকাশ করেন।

  

সোমবার থেকে দেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। এরমধ্যেই দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা বিষয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করা হল।    

ডা. শামস এল আরেফিন বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ বিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি করপোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।

তিনি আরও বলেন, গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

তিনি বলেন, জরিপ করা ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল। শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি। যা শতাংশ হিসাবে ১৪ শতাংশ।

ডা. শামস এল আরেফিন আরও বলেন, কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
আরকেআর/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।