সিলেট: ‘কম খরচে উন্নত সেবার প্রতিশ্রুতি’ এই স্লোগানে একটি ভাড়া বাসায় ১৯৮৫ সালে যাত্রা নিরাময় পলি ক্লিনিকের। দীর্ঘ তিন যুগ ধরে চলে আসা ক্লিনিকটি ২০১৯ সাল থেকে অনুমোদন ব্যতিরেকে সেবা দিয়ে আসছিল।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় পলি ক্লিনিকটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এদিন সিলেটে অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান করা হয়।
এদিন বিকেলে নগরের স্টেডিয়াম মার্কেট এবং নবাব রোড এলাকায় নিরাময় পলি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টিম যৌথভাবে অভিযান চালায়।
অভিযানকালে নিরাময় পলি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপর সেটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্লিনিকটিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানোর জন্য একদিন সময় দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার। তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযানকালে উপস্থিত থাকা সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন-আজ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি তাই কাউকে দণ্ডিত করা হয়নি।
তিনি বলেন অভিযানকালে দেখা গেছে, নিরাময় পলি ক্নিনিকের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৯ সালে উত্তীর্ণ হয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষ আর লাইসেন্স নবায়ন করেনি। অথচ তারা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ওই ক্লিনিকে রোগীরা চিকিৎসাধীন, তাই তাদের অন্যত্র পাঠানোর জন্য একদিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) থেকে নিরাময় পলি ক্লিনিকে সব ধরনের সেবা প্রদান বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে লাইসেন্স নবায়ন ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক করার পর তারা সেবা দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
এনইউ/এএটি