ঢাকা: ওষুধের অপব্যবহার ও নানাবিধ ওষুধে একযোগে ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসির উদ্যোগে গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘রেশনাল ইউজ অব ড্রাগস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন ওষুধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
স্কুল অব ফার্মেসির ডিন প্রফেসর ড. ইভা রহমান কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিজিডিএ) ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, উপপরিচালক এবং ন্যাশনাল ফার্মাকোভিজিলেন্স সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. মো. আকতার হোসেন, স্কয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রায়হান রব্বানী, ডিভিশন অব হসপিটাল সার্ভিসেস বারডেমের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. নাজিমুল ইসলাম, রোশ বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ আফরোজ জলিল, নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কান্ট্রি প্রেসিডেন্ট ডা. রিয়াদ মামুন প্রধানী, প্রাভা হেলথের চিফ অপারেটিং অফিসার ডা. ফয়সাল রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ডাটা অ্যান্ড সায়েন্সেসের বায়োটেকনোলজি গ্রোগ্রামের প্রফেসর ড. অপর্না ইসলাম, স্কয়ার, এভারকেয়ার এবং আজগর আলী হসপিটালের ফার্মাসিস্ট জাহিদ হাসান, তানজিনা ইসলাম এবং ওমর হাসান।
সঞ্চালনা করেন বৈঠকের আহ্বায়ক স্কুল অব ফার্মেসির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. শরমিন্দ নীলোৎপল ও ড. মেসবাহ তালুকদার।
বৈঠকে সার্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা কভারেজের অনুপস্থিতি, অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের অপর্যাপ্ততা, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ সেবন, ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ওষুধের অপব্যবহার ও নানাবিধ ওষুধের একযোগে ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহার অন্যতম একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ, তাই ওষুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন আলোচকরা।
বৈঠকে বাংলাদেশে ওষুধের যথাযথ ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ওষুধের যথেচ্ছা ব্যবহারের বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করে এর সমাধানে হেলথ কেয়ার প্রফেশনালদের করণীয় প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোসহ ওষুধের যথেচ্ছা ব্যবহাররোধে সম্ভাব্য বেশ কিছু সমাধানও তুলে ধরেন আলোচকরা। এর মধ্যে রয়েছে উৎপাদন থেকে শুরু করে গ্রাহকের কাছে ওষুধ পৌঁছানো পর্যন্ত এ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের নিরলসভাব কাজ করে যাওয়া। সেসঙ্গে দক্ষ ফার্মাসিস্ট ও নার্স তৈরির ব্যাপারে হাসপাতাল, ওষুধ শিল্প এবং একাডেমিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস