ঢাকা: ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে পাঁচ দিনব্যাপি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সভা সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশন (এসইএআরও) ভুটানের পারো শহরে শুরু হয়েছে।
এ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এসইএআরও ভুক্ত দেশগুলো ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ করবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে সভার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। সভায় এসইএআরও ভুক্ত ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আটটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সভায় অংশ গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় ১ম দিনের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
এ সময় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।
সভায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সভায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসূ দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পাঁচ দিনব্যাপী আঞ্চলিক সভায় সদস্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কৌশল অন্য দেশে কীভাবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করেছে।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেখালা সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আরাফাতুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস