ঢাকা: কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে অন্যত্র মাইগ্রেশন চান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ওহিয়া ফার্জিন বলেন, কেয়ার মেডিক্যাল বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা ও পরিচালনা নীতি ২০১১ অনুসারে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এই প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষার মান কোনো কিছুই ঠিক নেই। পদে পদে রয়েছে অনিয়ম। ছলচাতুরির মাধ্যমে আমাদের ভর্তি করে অনিশ্চিত গন্তব্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন ও ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় থেকে ১০টি আসন বৃদ্ধিসহ মোট ৫০টি আসন নিয়ে কেয়ার মেডিক্যাল ২০১৪-১৫ থেকে পরবর্তী তিন শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা ও পরিচালনা নীতি ২০১১ সংশোধনের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নামে জমি বৃদ্ধি, কলেজের নিজস্ব নামে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধির শর্তারোপ করা হয়। সেই শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরপর হাইকোর্টে রিট মামলা করলে ভর্তি বন্ধের আদেশ স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। এরপর তারা আরও চারটি বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, এসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় থেকে প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। এরপর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আগে নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য ছয় মাস সময় দিয়ে ভর্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত সময়ে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়ে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতায় রিট মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে অধয্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন দেয়নি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তালিকাভুক্ত করেনি। এ অবস্থায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অধ্যয়নরত ২১৮ শিক্ষার্থী কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে তাদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের মাধ্যমে পড়াশোনার সুযোগের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে অয়ন, আসিফ, সিলভিয়া ও রায়হান বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় ভুক্তভোগী আরও অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
কেআই/এমজেএফ