ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভিটামিন আয়ু কমিয়ে দেয়

হেলথ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১২
ভিটামিন আয়ু কমিয়ে দেয়

ঢাকা : শরীরে ভিটামিনের অভাবের কারণে নানান সমস্যা সৃষ্টি হয় তা সবার জানা। এজন্য ভিটামিনের অভাব পূরণে আমরা অনেকেই নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ওষুধ খেয়ে থাকি।

কিংবা শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন োষুধের বিকল্প কিছুই আমাদের মাথায় আসে না।

কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত ভিটামিন ওষুধ গ্রহণ এবং ভিটামিনের সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়।

এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এমন ঘটনাও দেখা যায়, যে সব রোগীকে ডাক্তার একবার পরামর্শ দিয়েছেন ভিটামিন খেতে। তারপর থেকে সেই রোগী নিজেই নিজের ডাক্তার হয়ে যান। কোনো কিছু হলেই তিনি দুর্বলতা বা অন্য কিছু মনে করে ওই ভিটামিন নিয়মিত খেতে থাকেন।

মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এই গবেষণাটি করা হয় ফিনল্যান্ড শহরে। ৬২ থেকে ৭৪ বছর বয়স্ক ১ হাজার ৮শ’ মানুষের উপর এ গবেষণা পরিচালনা করেন গবেষকরা।

ওই গবেষণায় ফলাফলে দেখা গেছে যে, যারা অধিক পুষ্টির জন্য ভিটামিন বা সম্পূরক খাবার গ্রহণ করেন তাদের আয়ু কমে যায়। এক্ষেত্রে যারা ভিটামিন ও সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করেন না তারা স্বাভাবিক আয়ু পেয়ে থাকেন।

গত ১০ বছরে ২২১ জন মানুষের মধ্যে যারা নিয়মিত ভিটামিন বা সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করতেন তাদের মধ্যে ৫৯ জনই তাড়াতাড়ি মৃত্যু বরণ করেছেন। অন্যদিকে যারা এসব ধরনের ভিটামিন ও সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ না করতো সেই ১ হাজার ৫শ ৫৩ জনের মধ্যে মারা গেছে মাত্র ২৮১ জন।

ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. টমি পেক্কা টমিনেন জানান, গবেষণায় দেখা যায় যে বয়স, লিঙ্গভেদে ও ধূমপানজনিত কারণে মানুষের যেমন মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে। তেমনিই ভিটামিন বা সম্পূরক খাদ্য গ্রহণে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে দ্রুত মৃত্যু ঘটায়।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, ফিনল্যান্ডের এই গবেষণার ফলাফলের সঙ্গে সম্প্রতি মিনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটির ফলাফল মিলে গেছে।

মিনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রায় ৩৮ হাজার নারীর ওপর এক গবেষণা চালান। যাদের বয়স ছিল ৬২ বছর। ১৯ বছর ধরে চালানো এই গবেষণায় দেখা যায়, যে সব নারী নিয়মিত মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করেন তাদের মৃত্যুর হার ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে যারা এগুলো গ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন তাদের মৃত্যুর হার ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

এছাড়া আরো দেখা যায়, এসব ভিটামিন গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যা পরবর্তীতে আয়ু কমিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১২

সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর/তানিয়া আফরিন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।