ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নিখরচায় বসুন্ধরা ও লংকাবাংলার দিনব্যাপী চক্ষুসেবা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
নিখরচায় বসুন্ধরা ও লংকাবাংলার দিনব্যাপী চক্ষুসেবা  ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: লংকাবাংলা এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহায়তায় দিনব্যাপী নিখরচায় চোখের চিকিৎসাসেবার আয়োজন করা হয়েছে।   

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আফতাব নগর জহুরুল ইসলাম সিটি সি ব্লকে লংকাবাংলা ফাউন্ডেশনের কোম্পানি সেক্রেটারি মোস্তফা কামাল ও জহিরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপিত আলমগীর হোসেন ঢালী চক্ষুসেবা কর্মসূচি উদ্ভোধন করেন।

উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মোস্তফা কামাল বলেন, লংকাবাংলা ফাউন্ডেশন নিজস্ব অর্থায়নে সব সময় গরীব অসহায় মানুষের সেবা দিয়ে থাকে এবার বিনামূল্যে চক্ষুসেবা কর্মসূচিতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট। আমরা বিনামূল্যে চক্ষুরোগীদের সব ধরনের সেবা  দিতে এই আয়োজন করেছি।

 মরিয়ম নামে এক রোগী বলেন, ‘আমি চোখে কিছু দেহি না। কেউ দাঁড়ায়া আছে এটা আবছা আবছা বুঝি, কিন্তু কে দাঁড়ায়া আছে এইডাতো বুঝি না। টাকার জন্য ডাক্তারও দেহাইতে পারি না। গতকাল মাইকে শুনছি বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দিবো হেই কারণে ডাক্তার দেহাইতে আইলাম’।

আয়োজকরা জানান, এই চক্ষু ক্যাম্পে অসহায় মানুষদের চক্ষু পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ওষুধ ও চশমা দেওয়া হয়। এছাড়া যাদের চোখের অপারেশন করা দরকার তাদের ঢাকায় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গিয়ে নিখরচায় অপারেশনসহ লেন্স দেওয়া হবে।  

বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট চক্ষু সেবায় একটি নন প্রফিট প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। আফতাব নগরে বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় ইউনিট করার প্রত্যাশার কথাও জানান আয়োজকরা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জহিরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আলমগীর হোসেন ঢালী, সোসাইটির সাবেক সভাপিত ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাউন্ডেশন, আফতাব নগর সোসোসাইটি ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এসআর/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।