ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সমালোচনার তোয়াক্কা না করে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি: জাহিদ মালেক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
সমালোচনার তোয়াক্কা না করে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি: জাহিদ মালেক

ঢাকা: সমালোচনার তোয়াক্কা না করে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত থাকার দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে কোভিড-১৯ যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ডাক্তার, নার্স টেকনিশিয়ানরা কেউ ভয়ে পিছপা হয়নি। কেউ যুদ্ধ থেকে সরে যায়নি। আমাদের অনেক সমালোচনা হয়েছে, সমালোচনা তোয়াক্কা না করেই আমরা করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম। যার কারণে আজকে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষাসহ অনান্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন দিনগুলো আমরা ভুলিনি। আমরা ভেবেছিলাম করোনা বাংলাদেশে আসবে না। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমাদের দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। মৃত্যুর ঘটনাও একই মাসে ঘটে৷ আমরা মুক্তিযুদ্ধ অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু আমরা করোনাকেই একটা যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, করোনকালে আমরা কেন আগাম প্রস্তুতি নিইনি সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, সমালোচনা করেছেন। অথচ এটা সম্পূর্ণ নতুন ছিল, এর বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আগাম প্রস্তুতি কি করে নেব? করোনাকালে আমরা হাসপাতাল তৈরিতেও বাধা পেয়েছি। ভয়ে অনেক এলাকার লোকজন হাসপাতাল তৈরি করতে দিতে চায়নি।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শূন্য হাতে করোনা মোকাবিলার কাজ শুরু করেছি। অল্প সময়ের মধ্যে করোনা চিকিৎসায় আমরা ২০ হাজার আলাদা বেড তৈরি করেছি, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেছি। আমাদের মাত্র একটা ল্যাব ছিল, আর এখন পর্যায়ক্রমে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৮শ’র অধিক ল্যাব আছে।  

করোনার টিকা দান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জনগণের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছি। আমরা ফ্রন্টলাইনারদের আগে দিয়েছি, এরপর বয়স বিবেচনায় দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নৌকা দিয়ে, পায়ে হেঁটে, পাহাড়ে চড়ে জনগণের দোড়গোড়ায় ভ্যাক্সিন পৌঁছে দিয়েছে। আমরা একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ টিকা দিয়েছি। ফলে আমরা ভালো আছি।

জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আট বিভাগে হাসপাতাল তৈরির কাজ চলমান আছে। অনেক হাসপাতালে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আমাদের চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে। আমাদের একটি ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলমান আছে। প্রতিটি জেলায় ১০ বেড আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস সেন্টার তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

তিনি বলেন, আমরা চাই দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো, সেবা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করতে চাই। যেমনটা আমরা কোভিড মোকাবিলায় সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী, বেসরকারি চিকিৎসা খাত ও গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ প্রদান করেন।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
আরকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।