ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাশিফল

হাতের তালুতেই লুকানো সন্তানভাগ্য!

জ্যোতিষী রুবাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪
হাতের তালুতেই লুকানো সন্তানভাগ্য!

বিয়ের পর দম্পতিদের প্রধান আগ্রহ থাকে সন্তান নিয়ে। নববিবাহিতরা জানতে চান তাদের সন্তানভাগ্য সম্পর্কে।

অনেকে আবার সন্তানের জন্ম নিয়েও নানা জটিলতায় ভোগেন। আপনি যদি জানতে চান আপনার ক’টা সন্তান হবে, সন্তানের হাত ধরে আপনার জীবনে সুখ আসবে কি-না? এ সবই জানতে পারবেন আপনি, শুধু একবার তাকিয়ে দেখুন নিজের হাতের রেখার দিকে।

ভারত উপমহাদেশীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিভিন্ন ধারার মধ্যে সমুদ্রশাস্ত্র একটি প্রাচীন ধারা। যেখানে এ বিষয়ে বেশ কিছু বিশ্লেষণ দেওয়া আছে। জটিল পর্যবেক্ষণগুলি বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কিছু সহজ বিশ্লেষণ পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো।

বিশ্লেষণগুলি দেখেই বাড়িতে বসে আপনি কিছুটা আপনার সন্তানভাগ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সমুদ্রশাস্ত্রে বলা হয়েছে, হাতের কনিষ্ঠ আঙুল ও বৃদ্ধাঙুলের নীচের অংশ- যাকে জ্যোতিষ শাস্ত্রের ভাষায় বলে শুক্র পর্বত। শুক্র পর্বতের পাশের ছোট রেখা সন্তান রেখা হিসেবে চিহ্নিত।

১. মনে করা হয়, স্পষ্ট ও গভীর রেখা থাকলে পুত্রসন্তান হয়। আবার পাতলা ও হাল্কা রেখা কন্যা সন্তানের দিকে ইশারা করে।

২. আবার হস্তরেখা বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি তত্ত্ব অনুযায়ী, হাল্কা রেখা থাকলে সন্তান শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হতে পারে।

৩. হস্তরেখা বিজ্ঞান অনুযায়ী যাদের হাতে বুধ পর্বত খুব উঁচু ও সন্তান রেখা স্পষ্ট, তাদের চার পুত্র এবং তিন কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন ব্যক্তির সন্তান গুণী হয়।

৪. যে ব্যক্তির শুক্র পর্বতের নীচে অর্থাৎ, বৃদ্ধাঙুলের নীচের অংশ খুব উঁচু, তাদের একটি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫. বেশ কয়েকজনের হাতে কোনো একটি সন্তান রেখা অধিক স্পষ্ট থাকে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নিজের অন্য সন্তানের তুলনায় একটি সন্তানকে অধিক ভালোবাসেন। সেই সন্তান তাদের সুখী রাখে।

৬. কোনো পুরুষের হাতের সন্তান রেখা স্পষ্ট না হলে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে নিজের স্ত্রীর হাতের সন্তান রেখা দেখা উচিত। মনে করা হয়, পুরুষদের তুলনায় নারীর হাতে সন্তান রেখা অনেক বেশি স্পষ্ট।

সবশেষে বলা যায়, এগুলি খুবই সহজ সরল কিছু বিশ্লেষণ। এর থেকে একটা ধারণা পাওয়া গেলেও সম্পূর্ণ সঠিক ধারণা পেতে হলে আপনাকে আরও বিভিন্ন ধারার জ্যোতিষ বিচার করতে হবে।

এর মধ্যে আছে গাণিতিক বিচার, হস্তরেখা বিচার ছাড়াও কিছু গ্রহের অবস্থান ও দশাগত বিশ্লেষণ। তবে সমস্যাকে নির্ণয় করাই জ্যোতিষীর একমাত্র কাজ নয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম কাজ সেই সমস্যাকে সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া।

তাই যদি কোনো পাঠক তার হস্তরেখায় সমুদ্রশাস্ত্র মতে কোনো সমস্যা লক্ষ করেন তবে হতাশ না হয়ে তার গাণিতিক জ্যোতিষ বিচার করা দরকার। এর মাধ্যমেই তার সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে। তবে মনে রাখতে হবে, সন্তানের জন্ম সংক্রান্ত বিচার করতে হলে স্বামী ও স্ত্রীর উভয়েরই সূক্ষ্ম বিচার করা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।