ক্রিকেট ও রূপালি পর্দার মধ্যে সম্পর্ক বহুকালের। ইতিহাসে তাকালে বারবার দেখতে পাব দুই জগতের তারকাদের প্রেম-বিয়ে-সংসারের খবর।
ইদানীং পূর্বসূরিদের দেখানো পথে চলচ্চিত্রের চাকচিক্যে ক্রিকেটীয় গ্ল্যামার নতুনভাবে মিশ্রণ ঘটিয়েছেন বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। এদের প্রেম নিয়ে আলোচনা মাঠের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র।
কিন্তু কতটা লম্বা রেসের ঘোড়া বিরাট-আনুশকা? এদের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়াবার সম্ভাবনাই বা কতটা? এই তারকা প্রেমের সফলতার সম্ভাবনা বিচার করতে আমারা সাহায্য নিলাম গাণিতিক জ্যোতিষ বা নিউমোরোলজির।
আগে বেশ কয়েকবার বাংলানিউজে গাণিতিক জ্যোতিষের পদ্ধতি নিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাই পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত না আলোচনা করে সরাসরি আমার দেখি কি বলছে এই প্রেমিক-যুগলের ভাগ্য।
প্রথমে আনুশকা শর্মা। আনুশকার জন্ম ১৯৮৮ সালের ১ মে। তার মৌলিক সংখ্যা ৫। আমরা জানি গাণিতিক জ্যোতিষে একজন মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব সবই নির্দিষ্ট হয় তার মৌলিক সংখ্যার মাধ্যমে।
মৌলিক সংখ্যা ৫ হওয়ায় আনুশকা অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী, স্থিরচিত্ত ও ক্যারিয়ার সচেতন। ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে পেশাকেই বেশি প্রাধান্য দেন তিনি।
তবে এই জুটির মধ্যে জ্যোতিষ গণনায় একটি অন্য অঙ্ক লুকিয়ে রয়েছে। ঘটনাচক্রে বিচার করতে গিয়ে দেখা গেলো, বিরাট কোহলির মৌলিক সংখ্যাও ৫। মৌলিক সংখ্যা ৫ হওয়ায় এদের দু’জনের চরিত্রে অনেক মিল।
বিরাট নিজের পেশায় কতটা মনোযোগী সেটা খেলার মাঠেই বোঝা যায়। ৫ মৌলিক সংখ্যা হওয়ার কারণেই মাঠে এতোটা আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায় বিরাটের।
সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে দু’জনের মৌলিক সংখ্যা এক হওয়া শুভ লক্ষ্মণ। তাই এই প্রেম সফল হবে বলেই গণিতের দিক থেকে বলা যায়। তবে কিছু সমস্যাও দেখা যাচ্ছে।
মৌলিক সখায় ৫ এমন মানুষদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ভবিষ্যৎ জীবনে এসে পড়ে। একই ধরেনর চরিত্র হওয়ার ফলে এরা একে অন্যের সঙ্গে ‘ইগো’ সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। সম্পর্কের মধ্যে জেদ, উত্তেজনা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে গাণিতিক বিচারের সম্ভাবনার দিক থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, এই জুটির সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫
এএ