রাজনীতি শুধু রাজনৈতিক দল ও নেতাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তেমনটা নয়। প্রত্যেক মানুষেরই রয়েছে নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ।
মুখে স্বীকার না করলেও অনেকেই মনে মনে ভাবেনই কোনো এক সহকর্মী বা সহকর্মীদের সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছেন না! অথচ, প্রতিদিন তাদের সঙ্গেই কম করে হলেও আট থেকে দশ ঘণ্টা কাটাতে হয় আপনাকে। কি করে সামলাবেন ‘অফিস পলিটিক্স’? বাস্তুশাস্ত্র দিচ্ছে সহজ সমাধান।
কর্মক্ষেত্রে রাজনীতির অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচতে কয়েকটি টিপস মেনে চলুন। দেখবেন আপনি অনেকটাই চাপমুক্ত।
কর্মক্ষেত্রে আপনার জায়গা ক্রমশ ভালো হচ্ছে। আর এর জন্য মনে রাখতে হবে সামান্য কয়েকটি নিয়ম-
কখনও দরজার দিকে পিঠ করে বসবেন না।
আজকাল বেশির ভাগ অফিসেই ফলস সিলিং ব্যবহৃত হয়। তবু কোনো কেবিনের ছাদে কড়িকাঠ বা বিম থাকলে তার নীচে বসবেন না। কড়িকাঠের নীচে বসে কাজও করবেন না।
নিজে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বসবেন। আপনার মুখ থাকবে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে।
আপনার কক্ষ বা বসার জয়াগার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ কখনও খালি রাখবেন না। ফাইল ক্যাবিনেট, গাছ বা ফুলদানি, কিছু একটা রাখুন।
কম্পিউটারের মনিটরের মুখ হয় দক্ষিণ-পূর্ব নয়তো উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে। আর কাজের সময় আপনার মুখ থাকবে উত্তর বা পূর্ব দিকে।
কর্মক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চাইলে আপনার পিছনের দেওয়ালে পর্বত বা উঁচু বাড়ির ছবি আটকান।
চেষ্টা করবেন দরজা বা জানলার দিকে পিঠ করে না বসতে। এতে অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়তে পারেন। একান্তই আপনার পিছনে কোনো জানালা থাকলে তা বন্ধ রাখুন এবং জানলার এক কোণে গাছ রেখে দিন।
সাধারণ কর্মী ও উচ্চপদস্থ কর্মীর বসার জায়গা বাস্তু তে নির্ধারণ করতে হবে।
এই জায়গা অবশ্যই একরকম হবে না। কর্মীদের বসার জায়গা সবসময় জ্যামিতিক আকারে মেনে হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে কক্ষের আসবাব হবে খুব সাদাসিধে ও মার্জিত।
আর উচ্চপদস্থ কর্মীর বসার জায়গা এমনভাবে সাজানো থাকবে যাতে কাজের জায়গায় যথেষ্ট পরিমাণে পজিটিভ এনার্জি বর্তমান থাকে। এছাড়া, কেবিনের উত্তর-পূর্ব কোণে জল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ফোয়ারা ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্য কক্ষ থেকে মালিকের কক্ষ আলাদা রাখতে প্রয়োজনে আলাদা দরজা ব্যবহার করা যেতেই পারে।
বেশির ভাগ সময়েই সংকীর্ণ, ঘিঞ্জি, কলরব মুখর ও ছোটো পরিসরে পিঠে পিঠ লাগিয়ে বসে কাজ করতে হয় সবাইকে। এমন পরিবেশে পজিটিভ এনার্জি-প্রবাহ বাধা পায়। ফলে অকারণে মন অশান্ত, খিটখিটে, অবসন্ন ও ক্লান্ত থাকে। কাজে ক্ষতি হয়। তাই নির্দিষ্ট ব্যবধানে কর্মীদের বসার ব্যবস্থা করা উচিত। এতে সবার মধ্যে পজিটিভ এনার্জি কাজ করে ও কাজের মান উন্নত হয়।
কর্মীদের বসার জায়গাটির পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খুব সতর্কভাবে রক্ষা করা দরকার।
সহকর্মীদের পরস্পরের দিকে পিছন করে না বসাই শ্রেয়। এতে পারস্পরিক সহযোগিতা কমে। ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে। সবসময় খোলা জায়গায় মুখোমুখি বসলে সহযোগী মনোভাব বৃদ্ধি পায়।
কাজের জায়গার পরিবেশ ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়, তাজা মৌসুমি ফুল বা গাছ। বসার জায়গার যে কোনো কোণে একটি গাছ রাখুন।
এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলতে শুরু করলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের পার্থক্যটা নিজেই অনুভব করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৫
এএ