কলকাতা: বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভ্যর্থনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সস্ত্রীক কলকাতায় আসছেন। এছাড়াও আসছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামের মেজর জেনারেল ডিএস খুশওয়া এ তথ্য জানান।
মেজর জেনারেল খুশওয়া বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশি অতিথিদের আসার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৩, ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর মিলিটারি ব্যান্ড কনসার্ট, মিলিটারি ট্যাটু এবং ১৬ ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় স্মারক প্রাঙ্গণে শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।
এছাড়া বাংলাদেশি অতিথিদের নিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সান্ধ্যকালীন ওই অনুষ্ঠানে আসর জমাতে পারেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা, বলিউডের সঙ্গীতশিল্পী উদিত নারায়ণ।
বিজয় দিবসের প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল খুশওয়াসহ উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, রণাঙ্গনে সংবাদ সংগ্রকারী মুক্তিযোদ্ধা সম্মানপ্রাপ্ত দিলীপ ঘোষ।
বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, বিজয় দিবস আমাদের কাছে উৎসবের সমান। উৎসব বর্ণিল করতে পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী (১৫-১৭) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেকদিনই বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। সেই উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিকার আসছেন। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেকদিন একটি করে সেমিনার থাকবে। সেখানে দুই বাংলার বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করবেন। সেমিনারগুলো মূলত বিষয়ভিত্তিক হবে। জোর দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক গত ৫০ বছরে কোন দিকে গিয়েছে এবং কী কী করা হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর সেজে ওঠে বাংলাদেশ এবং ভারত। নানান আয়োজন করে থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সবেচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম। তবে করোনা মহামারির কারণে মাঝে দুই বছর সেরকম আয়োজন দেখা যায়নি কলকাতায়। চলতি বছর করোনার প্রভাব কমায় শহরে ফের স্বমহিমায় ফিরছে বিজয় দিবসের আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ