ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারতে একযোগে হামলা করবে দুই প্রতিবেশী, আশঙ্কা রাহুল গান্ধীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
ভারতে একযোগে হামলা করবে দুই প্রতিবেশী, আশঙ্কা রাহুল গান্ধীর

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মনে করেন, ‘কোনো যুদ্ধ বাধলে ভারতের বিরুদ্ধে একযোগে লড়বে দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও পাকিস্তান। আর এমনটি ঘটলে ভারতের জন্য বড়ই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিওতে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীণদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল গান্ধী এমন মন্তব্য করেন।  

দেশ রক্ষায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তার অগাধ আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, চীন ও পাকিস্তান একসঙ্গে জুড়েছে। যদি কোনো যুদ্ধ বাধে তাহলে ভারতকে এই দুই দেশের সঙ্গেই লড়তে হবে। সেক্ষেত্রে ভারতকে এক বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। সে অর্থে ভারত এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায় রয়েছে।

এর পর সেনাবাহিনী ছাড়া ভারত টিকবে না বলেও মন্তব্য করেন রাহুল।

এ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে আমি শুধু সম্মানই করি না, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধাও রয়েছে তাদের প্রতি। আপনারা (সেনা সদস্যরা) দেশকে রক্ষা করেন। আপনাদের ছাড়া এই দেশ থাকবেই না। ’

চীন ও পাকিস্তানকে ভারতের দুই শত্রু উল্লেখ করে রাহুল বলেন, ‘আগে আমাদের এই দুই শত্রুরাষ্ট্র চীন ও পাকিস্তানকে পৃথক করে রাখা হতো। প্রথম এটাই ধারণা ছিল যে কখনও যুদ্ধের দুটি ফ্রন্ট একসঙ্গে খোলা উচিত নয়। তারপরে লোকে বলতো, আড়াইটা ফ্রন্টের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে, চীন, পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদ। আর আজ চীন ও পাকিস্তান এক হয়ে গিয়ে একটাই ফ্রন্ট হয়ে গেছে। যদি যুদ্ধ বাধে দুই দেশের সঙ্গেই বাধবে। তারা শুধু সামরিকভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও সমন্বয় করে চলেছে। ’

রাহুলের ভাষ্যে, আমাদের মনে এখনও সেই আড়াই ফ্রন্টের যুদ্ধের ধারণাই রয়ে গেছে। এখনও যৌথভাবে যুদ্ধ পরিচালনা বা সাইবার-অস্ত্র পরিচালনার কথা মাথায় নেই। চীন ও পাকিস্তান কিন্তু একসঙ্গে আমাদের একটা বড় চমক দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আর সে কারণেই আমি বারবার বলছি সরকারের হাত গুটিয়ে বসে থাকার সময় নয় এটা। সীমান্তে কী ঘটছে তা দেশবাসীকে খোলসা করে বলা প্রয়োজন। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আজ থেকেই নিতে শুরু করে দিতে হবে। আসলে পাঁচ বছর আগেই তা শুরু করা উচিত ছিল, কিন্তু করা হয়নি। যদি আজও  না নেওয়া হয় তাহলে আমাদের বড় বিপর্যয়ের সামনে পড়তে হবে।  

অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখে যা ঘটছে তাতে খুবই উদ্বিগ্ন বলে জানান তিনি।  

চীন-পাকিস্তান যুগ্ম তত্ত্ব শেষে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে এ কংগ্রেস নেতা বলেন, মোদি সরকার আসার পর থেকেই ভারতের অর্থনীতি নিম্মাগামী হচ্ছে। দেশে অরাজকতা, যুদ্ধ, বিভ্রান্তি এবং ঘৃণার বাষ্প ছড়িয়ে পড়ে ২০১৪ সালের পর থেকে।  

সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সেক্টরে চিনা সেনার হামলার পরে রাহুলের করা মন্তব্যের জেরে মাঠে নেমেছিল বিজেপি তথা মোদী সরকার। সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুলের ওই মন্তব্যের (‘ভারতীয় সেনা মারধর খেয়েছে’) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত জোড়ো যাত্রায় কিছু প্রাক্তন সেনা কর্তার সঙ্গে আলাপচারিতার ভিডিয়ো আজ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর সেনাকে নিয়ে আবেগে বিজেপি যাতে আর জল না ঢালতে না পারে, তার চেষ্টা করছেন তিনি।

 সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।