ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

নেপালে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানে ছিলেন ৫ ভারতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
নেপালে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানে ছিলেন  ৫ ভারতীয়

কলকাতা: নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়া বিমানে ছিলেন বেশ কয়েকজন ভারতীয়। ৭২ আরোহীর মধ্যে চারজন ক্রু সদস্য নিয়ে উড়েছিল টুইন ইঞ্জিনের এটিআর ৭২ মডেলের উড়োজাহাজ ইয়েতি এয়ারলাইন্স।

তারমধ্যে ছিল দুই শিশু। পোখরা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল বিমানটি। দেশটির কাস্কি জেলার নদীর কাছে ভেঙে পড়ে। সকাল ১০টা ৩৩ মিনিট নাগাদ কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করে। বিমানটি পোখরা বিমানবন্দরের নামার আগে সেটি ভেঙে পড়ে।

নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে খবর, বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ জনের দেহ। যাদের মধ্যে ছিলেন ৫ জন ভারতীয়, ৫৩ জন নেপালি, চার জন রুশ নাগরিক ও কোরিয়ার দুই জন। এছাড়া ছিলেন আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের একজন করে নাগরিক।

বিমান সংস্থার মুখপাত্র সুদর্শন বার্তাউলা বলেন, কেন বিমানটি ভেঙে পড়ল, জানি না। কেউ জীবিত রয়েছেন কি না, তাও বলতে পারছি না। ভেঙে পড়া মাত্রই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধারকার্য চলছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন তারাও। তবে যে ভাবে আগুন জ্বলছে, তাতে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

কলকাতার বিমান বিশেষজ্ঞ সাবেক ক্যাপ্টেন জেকে মুখোপাধ্যায় বলেন, বিমান উড়ানের জন্য আবহাওয়া ঠিক ছিল। ফলে ৯০ শতাংশ আমার মতো আবহাওয়াজনিত কারণে এই দুর্ঘটনা নয়। আগুনটা লেগেছে অবতরণের একটু আগে। ফলে অত লো লেবেলে এয়ার টার্বুলেন্স হতে পারে না। আবহাওয়াজনিত কারণ বা পাইলটের গাফিলতি হলে তা এয়ার কন্ট্রোলার ট্রাফিক জানতে পারতেন। যতদূর মনে হয় এটা যান্ত্রিক সমস্যা। ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ চলছে। তা মিললে সঠিক ভাবে বোঝা যাবে।  

তথ্য মতে, ৭০ বছরে এই নিয়ে ৯৬টি বিমান দুর্ঘটনা হলো নেপালে। শেষ ৮ বছরে ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
ভিএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।