ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

বকেয়া ডিএ’র দাবিতে মিছিল, ফের অবরুদ্ধ কলকাতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
বকেয়া ডিএ’র দাবিতে মিছিল, ফের অবরুদ্ধ কলকাতা

কলকাতা: বুধবারের (২৯ মার্চ) পর বৃহস্পতিবারও (৩০ মার্চ) স্তব্ধ হলো কলকাতা। এদিন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ও শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী ও চাকরি প্রত্যাশীদের সংগ্রামী মঞ্চের জোড়া মিছিলে অবরুদ্ধ হলো কলকাতার হার্ট পয়েন্ট- ধর্মতলা।

 

দুটি মিছিল। একটি শিয়ালদা থেকে, অন্যটি হাওড়া থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে দুটি মিছিল এসপ্ল্যানেড এলে অবরুদ্ধ হয় কলকাতার ব্যস্ততম অঞ্চল। যার প্রভাব পড়ে গোটা কলকাতাজুড়ে।

বুধবার (২৯ মার্চ) ডিএ আন্দোলনকারীদের ‘চোর-ডাকাত’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদে আজ (৩০ মার্চ) পাল্টা স্লোগান তোলেন আন্দোলনকাকীরা। ‘চোর সরকার’ বলে স্লোগান দেন সরকারি কর্মচারীরা।  

এদিন (৩০ মার্চ) দুপুরে হাজির হন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা। আসেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও।

এসময় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আদালত বলেছে, মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সরকারি কর্মচারীদের ন্য়ায্য অধিকার। কোনো অনুদান না। আমি নিশ্চিত, আপনাদের আন্দোলন সফল হবেই। যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টে না গিয়ে ধরনায় বসেছে, সেই রাজ্য সরকার আমার-আপনার অধিকার কেড়ে নিতে সরকারি অর্থ খরচ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, বুধবার (২৯ মার্চ) মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা ‘চোর-ডাকাত’। আমি আমার চোর-ডাকাত বন্ধুদের বলবো, এই চোর মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে এমন আন্দোলন করুন, যাতে নবান্নর (রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন) ১৪তলা থেকে বোঝা যায়, সরকারি কর্মচারীরা শুধু ঘেউ ঘেউ করে না, প্রয়োজনে কামড়েও দিতে জানে।  

প্রসঙ্গত, নবান্নর ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।

এদিকে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আম্বেদকর মূর্তির নিচে বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে ৩০ ঘণ্টা ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা শেষ হবে বৃহস্পতিবারও (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ধরনা মঞ্চে এদিন সকালে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই গান গেয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
ভিএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।