ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরায় হবে আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ: মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
ত্রিপুরায় হবে আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা (ত্রিপুরা): রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা বলেছেন, ত্রিপুরায় একটি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ চালু করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার চিকিৎসকদের বিষয়ে অনেক বেশি উদার।

আগে চিকিৎসকদের নিয়ে রাজনীতি করা হতো। এ অবস্থার পরিবর্তন এনেছে বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আস্তিক পরিবেশ তৈরি করেছে। এ সরকারের মূল লক্ষ্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবার উন্নয়ন। তাই সরকার সব মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের কল্যাণে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত মা ও শিশুর হোমিওপ্যাথিক স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ে আয়ুষ কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের নিয়ে রাজ্য ভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলোকে আবার তুলে ধরার কাজ শুরু করেছেন। এ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রকে তুলে ধরা। সেসঙ্গে বর্তমানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পদ্ধতিকেও অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে ত্রিপুরাতেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসার এবং প্রচারে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই আয়ুষ পরিষেবার অন্তর্গত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল অর্থাৎ নেতাজী সুভাষ স্টেট হোমিওপ্যাথি হাসপাতালে আইপিডি’র ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া গোমতী ও ঊনকোটি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতাল রয়েছে। অবিলম্বে সারুমেও আয়ুষ হাসপাতালের সূচনা হবে। রাজ্যের সব জেলার বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি বেশ কিছু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। গোমতী, উত্তর ত্রিপুরা, সিপাহীজলা ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৩৭টি আয়ুষ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার রয়েছে যেখানে হোমিওপ্যাথি পরিষেবা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে রাজ্যের সবক'টি জেলাতে আরও ৪৬টি আয়ুষ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিন রাজ্যের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিষয়ক একটি তথ্যচিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পরিষেবায় নিজেদের কৃতিত্বের সাক্ষ্য রেখে গেছেন এমন পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে সম্মান জানানো।

বছরের পর বছর রোগীদের যত্নের সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. দেবব্ৰত ভারতী। তার এ অবদানের জন্য তাকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানে সম্মানিত করা হয়। সেসঙ্গে গ্রাম-গঞ্জে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পরিষেবাকে প্রসারিত করার জন্য রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. রেখা সরকার, ডা. অপরাজিতা সরকার, ডা. প্রশান্ত দে এবং ডা. দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যকে স্বীকৃতি স্বরূপ প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ডা. দেবাশীষ বসু, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ত্রিপুরার আডিশনাল সেক্রেটারি শুভাশিস দাস, মেডিকেল এডুকেশন বিভাগের ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. এইচ পি শর্মা প্রমুখ।

ভারত সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানী আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।