কলকাতা: সমরেশ মজুমদারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মঙ্গলবার (৯ মে)। তবে কোনো সরকারি সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টা দিকে তার মরদেহ অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে কলকাতার ৬৪-বি, শ্যামপুকুর স্টিটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই বাড়িতেই মরদেহ শায়িত থাকবে। সেখান থেকে নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত সাহিত্যিকের।
তবে কোনো আচার অনুষ্ঠান হবে না। কারণ তার মেয়ে জানিয়েছেন, এসব পছন্দ করতেন না বাবা। বাবার শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে সরকারি সহযোগিতা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন দোয়েল মজুমদার।
তবে মুখ্যমন্ত্রী এক শোকবার্তায় জানিয়েছেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে সমরেশ মজুমদারকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি সাহিত্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কারসহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সমরেশ মজুমদারের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়ানে গভীর শোক প্রকাশ করেন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক কলকাতা বুক সেলার অ্যান্ড গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য জগৎ ক্রমশ দীন থেকে দীনতর হচ্ছে। কারণ কোভিডের সময় আমরা বেশ কয়েকজনকে হারিয়েছি। প্রথম সারির যে কজন সাহিত্যিক যারা এখনও বাংলায় রয়েছেন তাদের মধ্যে একজন মহীরুহ চলে গেলেন।
শোক প্রকাশ করেছেন দেশ পাবলিশার্সের কর্ণধার আন্তর্জাতিক বইমেলার সভাপতি সুধাংশু শেখর। এছাড়া হাসপাতালে এসে শোক প্রকাশ করেছেন ভাষা ও চেতনার সমিতির সম্পাদক ইমান উল হকসহ বিশিষ্টরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সোমবার (৮ মে) কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মরদেহ হাসপাতালের হিমাঘারে শায়িত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
ভিএস/আরবি