কলকাতা: ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স, ইন্ডিয়ান ওয়েল, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের নিয়ে কলকাতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) কলকাতার হোটেল কেনিলওয়ার্থে মতবিনিময় সভা ও শুদ্ধাচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করল সংস্থটি। এর আগে ২০০২ সালে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, বিমান এথিক্স কমিটির মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া) মো. আব্দুল জব্বার, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এক ঘণ্টাব্যাপী প্রেজেন্টেশন দেন শাকিল মেরাজ।
আব্দুল জব্বার বলেন, মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে আমরা শুদ্ধাচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। যখন ভালো কিছু করতে হয় তখন ভালো কারিগরের প্রয়োজন হয়। একজন কারিগরের ভালো জ্ঞান আছে, বুদ্ধি আছে; অথচ ভালো মন নেই, তারা প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি দূর এগোতে পারে না। ফলে এ ধরনের শুদ্ধাচারের মধ্যদিয়ে ভালো মন, শিষ্টাচার এবং নিজস্ব জ্ঞানে কার্যক্ষেত্র আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। সততার সাথে জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে যদি এগোতে পারেন তখনই আপনার, আপনার প্রতিবেশী, আপনার পরিবার, আপনার সমাজ এবং দেশের উন্নতি ঘটে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেমন সেবা দিয়ে থাকি তেমন আবার কারও কাছ সেবা নিয়েও থাকি। ফলে আমরাও কারো কারো স্টেকহোল্ডার। আমরা যেমন এয়ার ইন্ডিয়া, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন, ইন্ডিয়ান অয়েলের স্টেকহোল্ডার। আবার এজেন্টরা আমাদের স্টেকহোল্ডার। ফলে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রেই শুদ্ধাচার বা সততার আশা করব কিন্তু, দেয়ার ক্ষেত্রে এগুলো রাখব না, সেটা সঠিক নয়। সে কারণেই এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, পশ্চিমের কোনো বিমানবন্দর বা অন্য দেশের বিমানবন্দরে যখন সরাসরি বিমান দাঁড়িয়ে থাকে তখন কোনো একটায় বাংলায় ‘বিমান’ লেখা আছে দেখলে অন্তরটা কেমন প্রাণ ভরে যায়। এই অনুভূতিটা একটা অন্য অনুভূতি। এই অনুভূতিটা এনে দিতে পেরেছে একমাত্র বাংলাদেশ এবং তার সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ