ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচনেও সহিংসতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচনেও সহিংসতা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনের দিনটিও মৃত্যুহীন গেল না। সোমবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।

নিহতদের একজন নদীয়া জেলার সিপিএম সমর্থক। বাকি দুজন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল কর্মী।

শনিবার (৮ জুলাই) একধাপে পশ্চিমবঙ্গের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলকাতা বাদ দিয়ে রাজ্যটির ২২ জেলার মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ভোট হয়েছিল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট। বাকি জেলাগুলিতে ত্রি-স্তর বিশিষ্ট (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ) অংশে ভোট হয়। মোট ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথে ভোট দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ কোটির বেশি ভোটার। ভোটের সহিংসতায় ১৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। পরে চরম অশান্তির কারণে কয়েকটি বুথের ভোট বাতিল হয়ে যায়।

এরপর রোববার রাজ্য নিবার্চন কমিশন জানিয়েছিল, সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ১৯ জেলার ৬৯৬টি বুথে। তবে এ দিনও ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

ভোটের দিন ৮ জুলাই আক্রান্ত হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার তাদের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে, নদীয়ার তেহট্টের সিসা গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে ভোট দেওয়ার আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এক ভোটার। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এ নিয়ে ভোটের দিনগুলোয় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৯। ফলে সব মিলিয়ে ৮ জুন ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সহিংসতার কারণে ১০ জুলাই অবধি ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের ১৭৫টি বুথ, মালদহের ১০৯টি বুথ, নদীয়ার ৮৯টি বুথ, কোচবিহারের ৫৩টি বুথ, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৬টি বুথ, উত্তর দিনাজপুরের ৪২টি বুথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথ, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩১টি বুথ, হুগলির ২৯টি বুথ, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৮টি বুথ, জলপাইগুড়ি এবং বীরভূমের ১৪টি করে বুথ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০টি বুথ, হাওড়া এবং বাঁকুড়ার ৮টি করে বুথ, পশ্চিম বর্ধমানের ৬টি বুথ, পুরুলিয়ার ৪টি বুথ, পূর্ব বর্ধমানের ৩টি বুথ এবং আলিপুরদুয়ারের ১টি বুথে সোমবার পুর্নির্বাচন হচ্ছে। পুনর্নির্বাচন হয়নি ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়।

সোমবার বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া আর কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতি বুথে এক সেকশন অর্থাৎ আট জন করে আধা সামরিক সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।