কলকাতা: মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় এক বাংলাদেশি শিশু। এরপর উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করিয়ে ভারতের নাগপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
জানা যায়, রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে করে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল শিশুটি। কিন্তু, হঠাৎ করেই উড়োজাহাজের মধ্যে অসুস্থতা বোধ করে শিশুটি। কেবিন ক্রুকে জানানো মাত্রই উড়োজাহাজের গতিপথ ঘুরিয়ে রাতেই নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
এরপর বিমানবন্দর থেকেই নাগপুরের একটি বেসরকারি মাল্টিস্পেশালটি হাসপাতালে (কেআইএমএস-কিংসওয়ে) ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালের দিকে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় এবং পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি।
জানা গেছে, উড়োজাহাজে বাবা-মায়ের কোলেই সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে পড়েছিল শিশুটি। এ সময় উড়োজাহাজের সহযাত্রীরা তাকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) ব্যবস্থার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। উড়োজাহাজের সহযাত্রীদের মধ্যে দিল্লির 'অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস' (এইমস) এর পাঁচজন চিকিৎসকও ছিলেন। তাদের চেষ্টায় সাময়িক কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এরপর নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
নাগপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল কেআইএমএস-কিংসওয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এজাজ শামি (ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন) জানিয়েছেন, তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার শিশুটি মারা যায়।
তিনি জানিয়েছেন, বিমানের ভেতর এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকে তাকে অচেতন অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করার একাধিকবার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। শিশুটি কিডনি এবং হৃদ সমস্যায় ভুগছিল বলেও জানান এজাজ শামি।
তিনি আরও জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে ওই শিশুটির হৃদরোগের অস্ত্রোপচার হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ওই শিশুটির মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাবে তার পরিবার। ইতোমধ্যেই মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নাগপুর থেকে দিল্লি হয়ে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে শিশুটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
ভিএস/এসআইএ