ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

বিজেপির এ জয়কে ঐতিহাসিক বললেন মোদি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
বিজেপির এ জয়কে ঐতিহাসিক বললেন মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি সংগৃহীত

কলকাতা: ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য বাদ দিলে রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ তিনটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দি বলয়ের এ রাজ্যগুলোর বিধানসভা নির্বাচনকে কার্যত সেমিফাইনাল বলা হচ্ছিল।

তার তিনটিতে বিজেপির জয় পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে বিজেপি। একপেশে এ জয়ে রাজ্যগুলোর মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

এ জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতিত্ব দিতে শুরু করেছেন বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।  

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজয়োৎসব করেছে বিজেপি।

সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে এ জয়কে ঐতিহাসিক জয় বলেছেন। তিনি বলেছেন, এ জয় বিকশিত ভারতের জয়, আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্পের জয়। সততা, নিষ্ঠা ও পারদর্শিতারও জয় হয়েছে। তিন রাজ্যে বিজেপি জিতেছে। সেইসঙ্গে তেলেঙ্গনাতেও বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে।  

তিনি বলেছেন, এ জয়ে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। এ নির্বাচন দেশকে জাতিগতভাবে ভাগ বাটোয়ারা করার কৌশল ভেস্তে দিয়েছে। আমাদের কাছে চারটি জাতি রয়েছে। নারীশক্তি, যুবশক্তি, কৃষক ও গরিব পরিবার। এ চার জাতি শক্তিশালী হলেই দেশ শক্তিশালী হবে। আদিবাসী শ্রেণি এ চার জাতিরই অন্তর্গত।  

তেলেঙ্গানা রাজ্যটি কংগ্রেসের দখলে গেছে। সেই রাজ্যটির বিষয়ে মোদি বলেছেন, তেলঙ্গানার মানুষকেও আশ্বাস দিচ্ছি, বিজেপি আপনাদের সেবায় কোনো ত্রুটি রাখবে না।  

এ জয় শুধু মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে সীমিত থাকবে না। গোটা বিশ্বে এর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়বে।  

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, বিশ্ব দেখছে, ভারতের গণতন্ত্র ও ভারতের জনতা কতটা পরিণত। তারা দেখতে পাচ্ছে, ভারতের জনতা স্থির সরকারের জন্য সুচিন্তিতভাবে ভোট দিচ্ছে। আমাদের নীতির মৌলিক মন্ত্রই হল ‘ভারত মায়ের জয়’। অর্থাৎ দেশ ও দেশবাসীই অগ্রাধিকার।  

এরপরই বিরোধীদের নাম করে মোদি বলেছেন, দুধ আর পানির ফারাক মানুষ এখন বোঝে। জেতার জন্য বিভ্রান্ত ছড়ানো দেশবাসী পছন্দ করে না। আজকের জনাদেশ তা বুঝিয়ে দিল। দুর্নীতি, তুষ্টিকরণ আর পরিবারতন্ত্র নিয়ে দেশবাসীর মনে জিরো টলারেন্স তৈরি হয়েছে। তারা বুঝতে পারছেন এ তিনটি খারাপ দিককে একমাত্র রুখে দিতে পারে বিজেপি।  

বিজেপি দুর্নীতিরোধে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে বিপুল সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। এটি দুর্নীতিপরায়ণদের কাছে বার্তা। যারা দুর্নীতিপরায়ণদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাদেরও আজকের জনাদেশ স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিল।  

বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মোদির বার্তা
এ ভোট ঘমণ্ডিয়া (হিংসুটে) জোটের উদ্দেশেও বার্তা। দেশের ভালো করার কোনো ভাবনা নেই। শুধু ফটো তুলে নিজেদের বাঁচানোর তাগিদটাই পরিষ্কার। এ ফলাফল ওইসব শক্তির বিরুদ্ধেও বার্তা, যারা উন্নতির পথে বাধা তৈরি করছে। এ ফলাফল তাদের প্রতিও বার্তা, যারা কেন্দ্রের পাঠানো তহবিল ও মানুষের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাদের এবার মানুষ শিক্ষা দেবে।  

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে ২৩০ আসনের মধ্যে ১৬৪ আসন পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ৬৫ আসন। অন্যান্য এক আসন। এ রাজ্যে সরকার গড়তে দরকার ছিল ১১৬ আসন। রাজস্থানে ১৯৯ আসনের মধ্যে সরকার গড়তে দরকার ১০০ আসন। বিজেপি পেয়েছে ১১৫ আসন। এ ছাড়া ছত্তিশগড়ে ৯০ আসনের বিজেপি ৫৪, কংগ্রেস ৩৫ ও অন্যান্য এক। এ রাজ্যে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৬ আসন।

একমাত্র তেলেঙ্গানা রাজ্যে জয় পেয়েছে কংগ্রেস (৬৪ আসন), সেখানকার ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (বিআরএস) ৩৯ আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ৮ আসন ও অন্যান্যরা আট আসন। এ রাজ্যে সরকার গড়তে দরকার ছিল ৬০ আসন। সোমবার (৪ নভেম্বর) মিজোরামে বিধানসভার ভোট গণনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।