ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে বন্যা হয়নি: ভারত 

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে বন্যা হয়নি: ভারত 

ঢাকা: ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে ভারত।  

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখেছি যে ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি বাস্তবে সঠিক নয়। আমরা উল্লেখ করতে চাই যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকা এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এ বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে। ডুম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে। এটি একটি কম উচ্চতা (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ, যা বিদ্যুৎ উৎপন্নের মাধ্যমে একটি গ্রিডে দেওয়া হয়। যেখান থেকে বাংলাদেশও ত্রিপুরা থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ টেনে নেয়। প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে আমাদের অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুরা ২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। বাংলাদেশের সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গত ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।  

অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপক্ষীয় প্রটোকলের অংশ, যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বাস্তব সময়ের বন্যার তথ্য প্রেরণ করছি। ২১ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে, যার ফলে যোগাযোগের সমস্যা হয়েছে। তবুও আমরা তথ্য জরুরিভাবে দেওয়ার জন্য অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা, যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু দুটি দেশ ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী ভাগ করছে, তাই নদীর পানির সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪ 
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।