আগরতলা (ত্রিপুরা): রাজধানী আগরতলাসহ গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মাটি ধসে একসঙ্গে সাতজনের প্রাণ গেছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনা দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজারের গার্দাং এলাকায়। এর আগে মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আরও সাতজন নিহত হন। সব মিলিয়ে বন্যার কারণে রাজ্যে ১৪ জনের প্রাণ গেছে।
আগরতলাতেও বন্যার অবস্থাও খারাপ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, আগে যেসব জায়গায় বন্যার পানি জমেনি, এবার শহরের সেসব এলাকা পানির তলায় তলিয়েছে।
রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা হাওড়া নদী ও কাটাখাল পানি ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। যেসব খাল দিয়ে শহরের পানি বেরিয়ে যেত, সেগুলো দিয়ে উল্টো শহরের পানি প্রবেশ করছে।
আগরতলা পুরনিগমের পাম্প গুলো দিনরাত কাজ করলেও শহর থেকে পানি কমানো যাচ্ছে না। আকস্মিকভাবে এত বড় বন্যা হওয়ার ফলে প্রশাসন সব জায়গায় মানুষকে উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে পারছে না। এতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ রাজনৈতিক দল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো এগিয়ে এসেছে। বন্যার কারণে শহরের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। শহরের যে দিকে তাকানো যায় অলিগলি সব শুধু পানি আর আর পানি।
এদিন সচিবালয়ে মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। নাগরিকদের বন্যাকবলিত স্থান থেকে উদ্ধার করার পাশাপাশি দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে বন্যা মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২০ জনের একটি দলকে বিশেষ প্লেনে করে আগরতলা নিয়ে আসা হয়। হেলিকপ্টারে করে তাদের গোমতী জেলায় পাঠানো হয়েছে। পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পানি ছাড়ার কারণে সে জেলায় ভয়াবহ অবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২ ঘণ্টা, ২০২৪
আরএইচ