কলকাতা: ভারতে বন্দি ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত নিতে হলে বাংলাদেশে বন্দি ভারতের ৩১ জন জেলেকে মুক্তি দিতে হবে। এমন দাবি তুলেছে উড়িষ্যার ‘মেরিন ফিশ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন’।
আর এই দাবি জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
সম্প্রতি ভারতের উড়িষ্যায় আটক হন ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। যাদের দেশে ফেরাতে তৎপর উড়িষ্যার সরকার। ভারত সরকারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশি জেলেদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গত ১২ ডিসেম্বর নিশ্চিত করেছিল উড়িষ্যা পুলিশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি জেলেদের বিনা শর্তে ফেরত পাঠানো যাবে না বলে দাবি করেছে উড়িষ্যার ওই অ্যাসোসিয়েশন।
১৪ ডিসেম্বর ওই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রীকান্ত পারিদা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর ভারতের দুটি ট্রলার আটক করে বাংলাদেশ সরকার। উড়িষ্যার বর্ডার লাগোয়া সীমান্ত থেকে ট্রলার দুটি আটক করে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী। তাতে ৩০ টন মাছ ছিল। তা থেকে আমাদের ১০ টন ইলিশ ফেরত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাকি মাছের অর্থ এবং ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি, বাংলাদেশি জেলেদের ফেরাতে হলে ভারতীয় জেলেদের ফেরত দিতে হবে।
পারিদা আরও বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর ‘এফ ভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ বাংলাদেশি দুটি ট্রলার আটক করে পারাদ্বীপে নিয়ে যায় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলার দুটিতে ১৭৫ মেট্রিক টন মাছ ছিল।
এসব মাছ ভারতীয় সীমারেখায় ধরা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
শ্রীকান্ত পারিদা বলেন, ১৭৫ টন মাছ নিলামের জন্য উড়িষ্যা সরকার আমাদের অ্যাসোসিয়েশনকে ডেকে পাঠায়। উড়িষ্যা সরকার বলেছিল, দ্রুত নিলাম করে মাছের অর্থ ভারত সরকারের কাছে গচ্ছিত থাকবে। কিন্তু পরবর্তী সেই নিলাম স্থগিত করে দেওয়া হয় এবং বলা হয় বাংলাদেশের মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা চলছে। যে কারণেই নিলাম করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
ভিএস/এসএএইচ