কলকাতা: বাংলাদেশ বইমেলার পঞ্চম দিনটি ছিল বৃষ্টি ভেজা। গোটা দিন জুড়ে প্রবল বৃষ্টির ফলে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জমেছে পানি।
তবুও থেমে থাকেনি আলোচনা। সোমবার (৫ ই অগাস্ট) আলোচনার মূল দায়িত্ব পালন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব মোফাকখারুল ইকবাল (প্রেস)। যদিও বৃষ্টি সমস্যার সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু তা উপেক্ষা করেও বেশ কিছু পাঠক ভিড় করেছিল বইয়ের স্টলগুলিতে। তাদের সঙ্গেই শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
পাঠাকরা জানান, বাংলাদেশের বই কলকাতায় খুব সহজে পাওয়া যায় না। বই মেলাগুলি একমাত্র জায়গা যেখানে এই বইগুলি সহজে পাওয়া যায়। তাই তারা একটি দিন নষ্ট করতে চাননি।
প্রশ্নোত্তর পর্বে পাঠকরা জানতে চান কেন আরও বেশি প্রকাশনা সংস্থাকে মেলায় আনা হচ্ছে না? এই প্রশ্নের উত্তরে মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, ১৮ জন প্রকাশককে নিয়ে শুরু হওয়া প্রথম ‘বাংলাদেশ বইমেলা’ বর্তমানে ষষ্ঠ বছরে ৫০ প্রকাশকে পৌঁছেছে। আগামী দিনে মেলার পরিসর আরও বাড়াবার ভাবনা রয়েছে।
বাংলানিউজের এক প্রশ্নের উত্তরে মোফাখারুল ইকবাল বলেন, এই প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে যখন কলকাতার মানুষ বাংলাদেশ বইমেলায় আসেন তখনই মেলার সার্থকতা উপলব্ধি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে যখন রাস্তায় খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছেন না, তখন রবীন্দ্র সদনে পাঠকদের উপস্থিতি বাংলাদেশের বইয়ের প্রতি কলকাতার মানুষের আগ্রহের ছবি তুলে ধরে।
আলোচনা ছাড়াও মেলার মূল মঞ্চে অায়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজকদের আশা আকাশ পরিষ্কার হলে আরও বেশি মানুষ ভিড় জমাবেন আগামী দিনে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
ভিএস/এমজেএফ/