বিক্রেতারা জানালেন প্রথম দিকে চৈত্র সেলের বাজার তেমন না জমলেও পয়লা বৈশাখ যত এগিয়ে এসেছে ততই দোকানে খদ্দের বেড়েছে।
বিভিন্ন বাজারে বড় দোকানগুলোতে যেমন চলছে চৈত্র সেলের বিশেষ ছাড় তেমনই ফুটপাতের উপর অস্থায়ী দোকানগুলোতেও বিক্রেতারা সস্তায় জিনিস কেনার সুযোগের কথা গলা ফাটিয়ে বলে চলেছেন।
কলকাতার নিউমার্কেটে বাজার করে আসা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন বিশেষ ছাড় পাওয়ায় যায় চৈত্র সেলের বাজারে তাই প্রতি বছর তিনি পরিবার নিয়ে নিয়ম করে কলকাতায় কেনাকাটা করতে আসেন। কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারে কেনাকাটা করতে আসা শম্পা বিশ্বাস জানালেন আগে মায়ের সঙ্গে চৈত্র সেলের কেনাকাটা করতে আসতেন। বর্তমানে আসেন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। তার কাছেও সস্তায় জিনিস পাওয়ার সুযোগটাই আসল কথা।
এখন সারা বছর ধরেই ভারতের অনলাইন কেনাকাটার সাইটগুলি বিভিন্ন ছাড় দিয়ে থাকে তবুও কেন চৈত্র সেলের বাজারে মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন? গড়িয়াহাট বাজারের ক্রেতা নবীন মুখোপাধ্যায় জানালেন, অনলাইন কেনাকাটাতে দরদাম করার কোন সুযোগ নেই। চৈত্র সেলের আকর্ষণ লুকিয়ে আছে এই জায়গাতেই। বিক্রেতা একটি দাম বলেন ক্রেতার তার থেকে বেশ কিছুটা কম দাম বলেন। দুইজনের দামের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি দামে জিনিসটির হাতবদল হয়। এর মধ্যে লুকিয়ে চৈত্র সেলের আসল মজা। যেটা অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না।
নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনেকই দেখা গেল চৈত্র সেলের বাজারে।
তারাও রীতিমতো দরদাম করে জিনিস কিনছেন। শুধু যে পোশাক তাই নয়, সঙ্গে আছে ঘরের বিভিন্ন টুকিটাকি জিনিস। আর দরদাম করার এই উত্তেজনার মধ্যেই বছরের পর বছর ধরে টিকে আছে চৈত্র সেলের আকর্ষণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭
এসএস/আরআই