তিনি বলেন, ভারতের বই বাংলাদেশে সহজলভ্য হলেও, বাংলাদেশের বই ভারত তথা পশ্চিম বাংলায় সহজলভ্য ছিলো না। এ সমস্যার সমাধান করলো পাঠক সমাবেশ।
শুধু বই নয় সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও বাংলাদেশি চ্যানেলের অাসা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতবেশি আসবে তত বেশি দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে উঠবে। বর্তমানে সেতু প্রায় একমুখী।
মঙ্গলবার (০২ মে) আইসিসিআর’র অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে যা উঠে এলো তা হলো, সাহিত্য এমন একটি মাধ্যম যা যেকোনো দু’টি দেশের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতে পারে।
পাঠক সমাবেশ, অাইসিসিআর ও বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমদাদুল হক মিলন ও ফরিদুর রেজা সাগর।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত অধ্যাপিকা ড. বাসবি ফ্রেজার, গৌতম দে, শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, প্রাবন্ধিক ও শিশু সাহিত্যিক আহমেদ মাজাহার, অভিনেতা শহিদুল আলম সাচ্চু, কবি গীতেশ শর্মা, বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল ও এইচওসি জামাল হোসেন। উপস্থাপনা করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া।
প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, ঢাকায় শাহবাগ চত্বরে পাঠক সমাবেশ শুধুমাত্র বইয়ের বিপণী নয়। এখানে নবীন, প্রবীণ, লেখক, পাঠকরা জমায়েত হন। একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে লেখক ও পাঠকের মধ্যে একটি সেতু। ঢাকার মতো জাঁকজমক না হলেও কলকাতায় ঐতিহ্যবাহী বইপাড়া, কলেজস্ট্রিটে বাংলাদেশের বইয়ের সম্ভার নিয়ে কিছুদিন আগেই পাঠক সমাবেশ তার পথচলা শুরু করেছে।
এইচওসি জামাল হোসেন বলেন, সাহিত্যই পারে দু’টি দেশকে এক করতে। সাহিত্যই হলো একটি দেশের ইতিহাস। সাহিত্য পড়লে একটি দেশের ইতিহাসও জানা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
ভিএস/জেডএস