ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ইংরেজি বর্ষবরণ: কলকাতার দোকানে কেকের সমাহার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
ইংরেজি বর্ষবরণ: কলকাতার দোকানে কেকের সমাহার সুস্বাদু কেক।

কলকাতা: বড়দিন থেকে শুরু করে নতুন বছরের প্রথমদিন অব্দি কলকাতার বাঙালির শীতের সকালটা শুরু হয় সুস্বাদু কেক আর কফির ঘ্রানে। গত দুশো বছরে যেসব সাহেবি আদাব-কায়দা বাঙালি রপ্ত করেছিলো তার মধ্যে এটি অন্যতম।

যা স্বাধীনতার একাত্তর বছর পরও মরচে পড়েনি বাঙালির জীবনযাত্রা থেকে। তবে কেক আজ আর বিলাসিতা নয়, রোজগার রুটিনের একটি অঙ্গ।

তবে এই কয়টা দিন প্রতিবারই কলকাতার কেকে আসে ভিন্নতা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

কলকাতার নিউ মার্কেটের শতাব্দী প্রাচীন কেকের দোকানগুলো বিভিন্ন স্বাদের কেক কেনাটা বিশ্বস্ত জায়গা তৈরি করে বাঙালিদের মধ্যে। বড়দিন থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ, এখানকার কেকের দোকানগুলোতে ভিড়ে পা ফেলা দায় হয়ে ওঠে। এর মধ্যে নামকরা দোকানগুলোয় কেক কেনার লাইন তো মাঝেমধ্যে মার্কেটের সীমানা ছাড়িয়ে রাস্তায় এসে পড়ে। সাধারণত কেক তৈরি করতে ময়দার পাশাপাশি লাগে মাখন, কাজুবাদাম, কিসমিস, চেরি, ডিম, মোরব্বার মতো অনেক উপাদান।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ওই মার্কেটে সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

কলকাতার নিউ মার্কেটে জনপ্রিয় প্রাচীন কেকের দোকানের মালিক শেখ আমান রহমান বাংলানিউজকে জানান, কেক তৈরির উপাদানগুলোর দাম বেড়েছে। এজন্য বর্তমানে কেকের প্রতি পাউন্ডও দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ রুপি। তাতে কী হয়েছে? কেকে ছাড়া তো বর্ষবরণ সম্ভব না। তাছাড়া বর্ষবরণ তো আর রোজ রোজ হয় না বলেও যোগ করেন- ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক।

তিনি আরও জানান, সাধারণত এসময় যেসব কেক ক্রেতারা বেশি কেনেন, তা হলো ফ্রুট কেক, প্লাম ও রিচ প্লাম কেক, অ্যালমন্ড কেক, চিজ কেক ইত্যাদি। তবে এবার আমাদের বিশেষ আকর্ষণ ডান্ডি কেক। যা জিঞ্জার কেক ও ওয়াইন কেকের মিশ্রন। ওয়াইন কেক? নাম শুনে অ্যালকোহল আছে বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। ওয়াইনের ফ্লেভারটুকু দিয়েই বানানো হয় কেক। এতে অ্যালকোহল মেশানো হয় না। এর ৫শ’ গ্রাম, এক পাউন্ডের কিছু বেশি। এ ধরনের একটি কেকের দাম পড়বে মাত্র ৩শ’ রুপি। এবারের এটা চাহিদাও বেশ ভালো বলেও জানান রহমান।

এখানকার আরেকটি প্রাচীন দোকানের মালিক রজব আলী বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ ফ্রুট কেক বা প্লাম কেকের বিক্রিই হয় সবচেয়ে বেশি। আমরা সারাবছর ধরেই এসব কেক বিক্রি করি। তবে এসময়টায় কিছু নতুন আইটেম তৈরি হয়। চোকোচিপস, অ্যালমন্ড বাদাম দিয়ে যে কেক আমরা বানাই, তার চাহিদাও এবারে খুব ভালো। এছাড়া আছে নিরামিষাশীদের এগলেস কেকও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের স্বাদ বদলাতে বাজারে এসেছে ডান্ডি কেক।

রজব আলী জানান, এমনিতে বাঙালির বারোমাসে তেরো পার্বণ। তার সঙ্গে কয়েকবছর ধরেই জুড়ে গেছে বড়দিন আর বর্ষবরণ উদযাপন। আর এই উদযাপনের আবশ্যিক উপাচার সুস্বাদু কেক। পিঠেপুলি নাই বা হলো। এবার কলকাতার বর্ষবরণ সপ্তাহ কাটুক ডান্ডি কেক বা চিজ কেক দিয়েই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।