একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র-নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের চালানো নৃশংসতা-বর্বরতা স্মরণে এ দিবস উপলক্ষে সোমবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে দূতাবাস।
আলোচনা সভার আগে পাকিস্তানিদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ নেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির সদস্য সরদার আমজাদ আলী, সাংবাদিক শুখরঞ্জন দাস ও বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল।
উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নির্মম গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তানি সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত একলাখের বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।
সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে একটি শহরে এতো লোক শহীদ হওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুই কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল, তবে সেটি ছিল ছয় বছরের যুদ্ধ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতবর্ষের উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমের সব মানুষের নিঃস্বার্থ সাহায্যের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, বাঙালির ন্যায্য অধিকার স্তব্ধ করে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার সরকার একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর যে পৈশাচিক গণহত্যা চালায় তা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তার সর্বশেষ বাণী বাংলার মানুষের উদ্দেশে প্রদান করেছিলেন, যা ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে পড়ে শোনানো হয় বলেই দিনটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ধরা হয়।
আলোচনার পর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা একটি নাটিকা পরিবেশন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/