ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারতে ভোটের ইস্যুতে কাঞ্জিভরম শাড়ি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
ভারতে ভোটের ইস্যুতে কাঞ্জিভরম শাড়ি! কাঞ্জিভরম শাড়ি

কলকাতা: স্বর্ণের জরি দিয়ে তৈরি শাড়ি। যার আসল নাম কাঞ্চিপুরম সিল্ক। তবে বাঙালির কাছে পরিচিত কাঞ্জিভরম শাড়ি নামে। দক্ষিণ ভারত তথা বিশেষ করে তামিল মেয়েদের বড় প্রিয় এ শাড়ি। এখন বাঙালি রমণীকুলেও প্রিয় যথেষ্ট।  

শাড়ির পাড় হয় সম্পূর্ণ স্বর্ণের জরি দিয়ে। কয়েক বছর পরও যদি নির্দিষ্ট দোকানে ফেরত দেন, তখনকার সোনার দাম অনুযায়ী শাড়ির দাম পাবেন।

আসলে পরা শাড়ির তো আর দাম হয় না। তবে স্বর্ণের জরি, সে তো অমূল্য! তাই ‘ইহা শাড়ি নয় রমনীর সম্পত্তি। ’ এমনই মূল্যবান আসল কাঞ্জিভরম শাড়ি। আসল কাঞ্জিভরমের দাম শুরুই হয় এক লাখ রুপির উপর থেকে।  

বাঙালিদের যেমন পছন্দের শাড়ি বেনারসী, তেমনি তামিলনাড়ুতে বিয়ের শাড়ি বলতে এই কাঞ্জিভরমকেই বোঝায়। ১০ থেকে ১২ হাজার খরচ করলেও পাওয়া যায়। তবে শাড়িটি কিন্তু মূল্যহীন নয়। তাতেও স্বর্ণ থাকে। তবে নামমাত্র। শাড়ির দাম নির্ধারণ হয় স্বর্ণ ও উন্নতমানের সিল্কের উপর।  

কিন্তু শাড়ি কীভাবে ভোটের অন্যতম ইস্যুর মধ্যে ঢুকে যেতে পারে, তা এবার দেখিয়ে দিয়েছে তামিলনাড়ু। সৌজন্যে? নরেন্দ্র মোদী এবং তার জিএসটি অর্থাৎ, গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স। বলে রাখা ভালো, ভারতের এগারো প্রকারের ট্যাক্স বাতিল করে এসেছে জিএসটি।

কলকাতার নিউমার্কেটর এক বিখ্যাত শাড়ি ব্যবসায়ী, এই জিএসটির কথা উঠতেই চটে লাল। তিনি বলেন, বছর দু’য়েক আগেও দিনে ৮ থেকে ১০ লাখ রুপির শাড়ি আমার এখান থেকে বিক্রি হতো। এখন? বিক্রি কমে ঠেকেছে মাত্র তিন লাখে। এই জিএসটি আমাদের শেষ করে দিয়েছে। এক লাখি শাড়ি ক’জন পরে? এর মধ্যে নোট বাতিলের ধাক্কা। মানুষের হাতে নগদ কমে গেছে। তাই ব্যবসাও রোটেট হচ্ছে না। জিএসটির প্রভাব ভালোমতোই টের পাচ্ছি। আগে বিক্রি করতে বেগ পেতে হতো না। লক্ষ্মী এমনিতেই ঘরে আসতো। এখন দেখুন না, ক্রেতাদের ডেকে দোকানে বসিয়ে চা, কফি, আইসক্রিম খাইয়ে তবে এক আধটা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে।  

কাঞ্জিভরম বা কাঞ্চিপুরম শাড়ির মূল পীঠস্থান তামিলনাড়ুতে। যেখানে এখনও করুণানিধির রাজনৈতিক দল ডিএমকের প্রভাব অনেকখানি। দলটি হাত মিলিয়েছে মমতার ফেডারেল ফ্রন্টের সঙ্গে। এবারের ভোট নিয়ে ডিএমকে যথেষ্ট আশবাদীও। আর সেখানেই শাড়ি ভোটের অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে। এমনই জানালো ব্যবসায়ী।   

আঞ্চলিক দলগুলোর নির্বাচনে ফল ভালো হলে পরিস্থিতি কিন্তু ওলট-পালট হয়ে যেতে পারে। তবে তা তো ২৩ মে ফল ঘোষণার দিনই বোঝা যাবে। তবে এই জিএসটির কারণে অজান্তেই বাঙালি রমনীর প্রিয় শাড়ি ভোটের অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।